Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের লক্ষ্যে পথে তৃণমূল

এ দিন দুপুরে চাপড়ায় তৃণমূলের তরফে মিছিল করা হয়। চাপড়া ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে সেই মিছিলে সামিল হন।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১০
Share: Save:

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নামা এবং একইসঙ্গে সেই প্রতিবাদকে শান্তিপূর্ণ রাখাই এখন লক্ষ্য তৃণমূলের। সেই লক্ষ্যে রবিবার জেলার একাধিক জায়গায় মিছিল ও বিক্ষোভ সভা করল রাজ্যের শাসক দল।

এ দিন দুপুরে চাপড়ায় তৃণমূলের তরফে মিছিল করা হয়। চাপড়া ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে সেই মিছিলে সামিল হন। মিছিলের কারণে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। এলাকার ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, মিছিল শুরু হওয়ার আগে তৃণমূলের লোকজন তাঁদের দোকান বন্ধ করার কথা বলেন। চাপড়ায় ব্লক অফিসের সামনে এবং আরও কয়েকটি জায়গায় টায়ার পোড়ানো হয়।

রানাঘাট-১ ব্লকের খিসমা এলাকায় বিশাল মিছিল বার করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ, রানাঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষ। আবার তেহট্ট বাজারে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত-সহ অন্য স্থানীয় নেতারা। কোথাও কোনও গন্ডগোল হয় নি বলে দাবি তৃণমূল নেতাদের।

তৃণমূল সূত্রের খবর, পাশের জেলা মুর্শিদাবাদে যে ভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তাতে আশঙ্কিত দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। এর আঁচ যাতে নদিয়ায় না পড়ে তা নিশ্চিত করাই তাঁদের লক্ষ্য। দলের তরফে বারবার আবেদন জানানো হচ্ছে, যাতে উস্কানি বা প্ররোচনায় কেউ পা না দেন। কার্যত উভয় সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। কারণ এই মুহূর্তে যেমন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে পথে নামা দরকার, তেমনই সেই আন্দোলন শেষপর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রাখাটাও জরুরি। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, দলের নেতারা অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে পড়া মুসলিমদের কতটা বোঝাতে পারেন, তার উপরই নির্ভর করবে আন্দোলন কোন দিকে যাবে।

এ দিন তৃণমূলের কর্মসূচিতে সৌভ্রাতৃত্ব এবং সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়। চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, “আমরা কর্মীদের নিয়ে বারবার বৈঠক করছি। তাদের পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও ভাবেই এলাকায় অশান্তি হতে দেওয়া যাবে না। আন্দোলন সার্বিক ভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেটা করতে হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবে।”

পাশাপাশি, চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে হিন্দু ও মুসলিমদের নিয়ে একসঙ্গে আন্দোলন করা যায়। তেহট্টের প্রতিবাদ সভায় যেমন এ দিন মুসলিম ও মতুয়া নেতৃত্বকে রাখা হয়। তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর বলেন, “গতকাল যাঁরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের আনুরোধ করি তুলে নিতে। তাঁরা কিন্তু আমার সেই অনুরোধ রেখেছেন। আন্দোলন হবে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়ে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE