পঞ্চায়েত স্তরে গ্রাম সম্পদ কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ তুলে নিয়োগ প্রক্রিয়াই আটকে দিল তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। অভিযোগ, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে একাধিক গলদ রয়েছে। সেই কারণেই পঞ্চায়েত সমিতি ওই নিয়োগ বাতিল করেছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, শাসকদল ওই নিয়োগে প্রভাব খাটাতে না পেরে পরীক্ষাটাই বাতিল করতে চাইছে।
পঞ্চায়েত সমিতির চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত সোমবার ওই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রাখতে বাধ্য হল প্রশাসন। কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক মৈত্রেয়ী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতি এ দিনের নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিয়ে মৌখিক ভাবে আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টি লিখিত ভাবে জানাতে বলেছিলাম। কিন্তু ওরা পরীক্ষা চলাকালীন বাধা দেয়। তাই আইনশৃঙ্খলার কথা ভেবে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।’’
প্রতিটি পঞ্চায়েতে ১০ জন করে গ্রাম সম্পদ কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সেই হিসেবে সেখানে ৭০ জন গ্রাম সম্পদ কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। রবিবার ছিল লিখিত পরীক্ষা। ওই দিনই খাতা দেখে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ১১৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই মতো সোমবার ব্লক অফিসে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে থাকে। কিন্তু এরই মধ্যে কয়েকজন যুবক এসে পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরীক্ষায় নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানাতে থাকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ অন্যরাও। ব্লক অফিসে উত্তেজনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের কাকলী হালদার বলেন, ‘‘ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক ভুলভ্রান্তি রয়েছে। সবটা স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে না। চন্দননগরের একটি ছেলে পরীক্ষা দেননি। অথচ তিনি মৌখিক পরীক্ষায় বসছেন। তাহলেই বুঝুন কী ধরনের অনিয়ম হচ্ছে।’’
মৈত্রেয়ীদেবী বলেন, ‘‘পরীক্ষায় যাতে কোনওরকম অনিয়ম না হয় তার জন্য আমরা জেলাশাসকের নির্দেশে অন্য মহকুমা থেকে অফিসার নিয়ে এসে পরীক্ষা নিয়েছি। অতএব অভিযোগ ঠিক নয়।’’ বিরোধীদের দাবি, আসলে শাসকদল প্রশাসনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে ভিতর থেকে নিজেদের লোক নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের কাছে নতিস্বীকার করেনি প্রশাসন। স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ চলছিল। সেই কারণেই যেমন করেই হোক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে চেয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy