Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
TMC

আসন ছিনিয়ে নিতে আশাবাদী তৃণমূল

রানিনগর বিধানসভায় একটা বড় অংশ জুড়ে আছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে চোরাকারবার এবং চোরাকারবারীদের সঙ্গে রাজনীতির কারবারিদের কয়েক জনের ঘনিষ্ঠতা এখানে আগাগোড়াই আছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস
রানিনগর  শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২০ ০২:৪৯
Share: Save:

ডোমকল মহকুমার ইসলামপুর এলাকার বড় একটা অংশ তখনও লালবাগ বিধানসভার মধ্যে। ভৈরবের পাড়ের রানিনগর ১ ও ২ ব্লক কিছুটা অংশ ছিল লালবাগ বিধানসভার অন্তর্গত আর কিছুটা অংশ ছিল জলঙ্গি বিধানসভার মধ্যে। ২০০৯ সালে গোয়ালের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ জলঙ্গি এবং লালবাগ বিধানসভা ভেঙে গঠিত হয়েছিল রানিনগর বিধানসভা। ২০১১ সালে প্রথম নির্বাচন হয় সেই বিধানসভায়। প্রথম নির্বাচনেই কংগ্রেস দখল করেছিল ওই আসন। এখনও পর্যন্ত তাদের দখলেই আছে রানিনগর বিধানসভা। তবে এবার লোকসভা নির্বাচনে ওই বিধানসভা নির্বাচন ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে শাসকদল তৃণমূল।

যদিও বিরোধীদের দাবি, সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন হলে এখনও সেখানে বিরোধী জোটই জিতবে। যদিও শাসক তৃণমূলের দাবি, আগামী বিধানসভায় বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল। সিপিএমের দাবি তারা যেদিকে যাবে সেই জিতবে।

রানিনগর বিধানসভায় একটা বড় অংশ জুড়ে আছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে চোরাকারবার এবং চোরাকারবারীদের সঙ্গে রাজনীতির কারবারিদের কয়েক জনের ঘনিষ্ঠতা এখানে আগাগোড়াই আছে। অনেক সময় পরোক্ষ ভাবে চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত অনেকেই একেবারে সরাসরি রাজনীতি অন্দরে ঢুকে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রানিনগর বিধানসভা তৈরির সময় তারা ভেবেছিলেন আলাদা বিধানসভা হলে উন্নয়নের জোয়ার বইবে সেখানে। কিন্তু আদতে বিধানসভা গঠন হওয়ার পরে উন্নয়নের তেমন কোনও ছোঁয়া লাগেনি ওই বিধানসভা কেন্দ্রে।

কংগ্রেসের দাবি, কেবলমাত্র কংগ্রেসের বিধায়ক থাকার জন্যই রানিনগরকে নানাভাবে বঞ্চনা করা হয়েছে।

রানিনগরের বিধায়ক কংগ্রেসের ফিরোজা বেগম বলছেন, ‘‘রানিনগরের মানুষ যে আমাদের সঙ্গে আছে সেটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সরকার নানাভাবে বঞ্চিত করলেও মানুষ ফেরায়নি আমাদের দিক থেকে। আর যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে ভোট হলে আগামী বিধানসভাতেও আমরাই জিতব সেখানে।’’ যদিও শাসকদল তৃণমূল নেতারা সেই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের কথায় আসলে বহিরাগত প্রার্থী হওয়ার জন্যই তার রানিনগর নিয়ে তেমন কোনও ভাবনা চিন্তা নেই। রানিনগর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আমিনুল হাসান বলছেন, "রাজ্য সরকার উন্নয়নের ঝুড়ি নিয়ে বসে আছে, নিজের এলাকার উন্নয়নের জন্য খিদে থাকা দরকার, সেটা নেই বিধায়কের। আদতে এখানকার বিধায়কের ভোটের সময় ছাড়া পা পড়ে না রানিনগরে। ফলে উন্নয়ন করবেন কী করে।’’ তবে বামপন্থীদের ধারণা, রানিনগর এ বার তাঁদের হতাশ করবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Lalbagh Legislative Assembly Raninagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE