Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

শক্তিপুরে দেহ উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর

দোকান বন্ধ করে শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন শক্তিপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শক্তিপুর শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২৫
Share: Save:

দোকান বন্ধ করে শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন শক্তিপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন। পরে রবিবার সকালে মিঞা হল্ট স্টেশনের কাছ থেকে বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর। মৃতের নাম ফিরদৌস আলি (৪২)। বাড়ি শক্তিপুর থানার মিঞাগ্রামে। ফিরদৌস এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ফলে ওই খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছে। অভিযোগ বিরোধীদের দিকে। যদিও পুলিশ খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানায়। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলছেন, ‘‘ওই ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত চলছে। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তদন্ত চলছে।’’

বছর খানেক আগে কংগ্রেস ও তৃণমূলের গণ্ডগোলের জেরে খুন হন এক ব্যক্তি। জখম হন বেশ কয়েক জন। তার পরে ফের রবিবার ওই খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মিঞাগ্রাম। পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী ফিরদৌসের মিঞা মোড়ে দোকান রয়েছে। প্রতি দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু শনিবার রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। কিন্তু রাত পর্যন্ত তাঁর খোঁজ না পেয়ে শক্তিপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন। পরে রবিবার ভোরে গ্রামবাসীরা সাদা প্লাস্টিকে মোড়া দেহ দেখতে পায়। বস্তার বাইরে দুটো পা বেরিয়েছিল। ওই খবর পৌঁছায় মৃতের পরিবারের সদস্যদের কাছে। পরে পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মৃতদেহ দেখে চিনতে পারে মৃতের পরিবারের লোকজন। তার পরনে ছিল নীল লুঙ্গি ও হালকা গোলাপী জামা। তার মুখে ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে এবং তা শুকিয়ে গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, মারধরের পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। অন্য কোথাও খুন করে দুষ্কৃতীরা মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করে বলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। পরে মাঝ পথে মৃতদেহ ফেলে পালায়।

মৃতের বাবা আরজ আলি পুলিশকে বলেন, ‘‘আমার ছেলের কোন শত্রু ছিল না। কাপড়ের ব্যবসা নিয়েই থাকত। তাকে কারা খুন করল বুঝতে পারছি না।’’ বেলডাঙা ২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি গোলক বন্দ্যোপাধায় বলেন, ‘‘আমাদের বুথ স্তরের সক্রিয় কর্মী ছিল ফিরদৌস। তবে খুনের পিছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে কিনা, তা পুলিশকে তদন্ত করে দেখার কথা বলা হয়েছে।’’ মুর্শিদাবাদ দক্ষিনের সহ সভাপতি বিজেপির হুমায়ুন কবীর বলছেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক খুন নয়। তবে খুনের কারণ খতিয়ে দেখুক পুলিশ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dead Body TMC Worker Station
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE