জখম প্রসেনজিৎ। নিজস্ব চিত্র
টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল শান্তিপুর কলেজ। ঝামেলা পাকানোর অভিযোগে পুলিশ তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে আটক করে। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, ঘটনার সঙ্গে ওই ছাত্রের যোগ নেই, এটা নিশ্চিত হওয়ার পরই ছাড়া হয়েছে। অভিযোগ, ছাড়া পেয়ে ওই পড়ুয়া থানা থেকে বার হতেই কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মনি সরকারের গোষ্ঠীর লোকজন ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে। আহত ওই ছাত্রের তরফে শান্তিপুর থানায় এ মর্মে নালিশও জমা পড়েছে। জখম ওই ছাত্র শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহত ওই ছাত্র, প্রসেনজিৎ অধিকারীর বলেন, “থানা থেকে বার হতেই কয়েকজন যুবক আমাকে জোর করে মোটরবাইকে তোলে। কিছু দূরে নিয়ে গিয়ে আমাকে রড ও বন্দুকের বাট এলোপাথাড়ি মারে। তারপর থানার সামনের রাস্তায় আমাকে ফেলে চম্পট দেয় ওই দুর্বৃত্তেরা।’’
যদিও এ দিনের ঝামেলার পর মনি সরকার দাবি করেন, তাঁদের লোকজনের উপর হামলা করেছে বিরোধীপক্ষের লোকজন। মনি সরকারের শাগরেদরা রাস্তা অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেয়।
শান্তিপুর কলেজে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের দ্বন্দ্ব বহু দিনের। ছাত্র মনি সরকার ও ফিরোজ শেখের অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকে। এর আগেও ওই দুই গোষ্ঠীর ঝামেলায় বোমা-গুলি চলেছে। এ দিনের ঘটনা সেই সব দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মণি সরকার বলেন, “ওঁরা কলেজের ভিতরে ঢুকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। লাঠি-রড় দিয়ে আমাদের ছেলেদের উপরে হামলা চালিয়েছে। আমরা কাউকে মারিনি।’’ উল্টো দিকে ফিরোজ আলি শেখের অভিযোগ, “বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে আমাদের উপর মাঝেমধ্যেই হামলা করা হচ্ছে। আজও একই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘটনা প্রসঙ্গে বলছেন, “একটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।” টিএমসিপির জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত বলেন, “দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধার করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy