বিডিও অফিসের ভিতরে দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের শিবুনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে। যাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই অভয় চৌধুরী আবার তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের ব্লক নেতা। অভয়বাবু শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালন ক্ষমতা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে গোলমালেই এই ঘটনা বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও।
ব্লক অফিস সূত্রে খবর, এই দুই নেতার কোন্দল বহু দিনের। এ দিন তা প্রকাশ্যে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ আচমকা অভয়বাবুর উপরে সদলবলে চড়াও হন শিবুনাথবাবু। অভয়বাবুর মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত রয়েছে বলে খবর। বিডিও অফিস চত্বরে এমন গোলমাল দেখে হকচকিয়ে যান অন্য কর্মীরা।
কেন মারধর?
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অভয়বাবুর অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিপুল আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি সেই দুর্নীতির প্রতিবাদ করে প্রহৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সভাপতি বুঝেছেন আমি থাকলে তিনি সহজে দুর্নীতি করতে পারবেন না। সেই কারণেই বাইরের গুন্ডা দিয়ে মারধর করা হয়েছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে শিবুনাথবাবু বলেন, ‘‘মিথ্যে কথা। অনেক দিন ধরেই নানা কথা রটিয়ে চলেছেন অভয় চৌধুরী। উনি নিজে একজন ডিপ টিউবওয়েল অপারেটর। কিন্তু কোনও দিনই কাজে যান না।’’
শিবুনাথবাবুর আরও অভিযোগ, কর্মচারী সংগঠনের নেতা হওয়ায় উনি ব্লকের কর্মীদের নানা হুমকি দেন। অর্থের বিনিময়ে নানা অনৈতিক কাজ করেন। তিনি মারধরের অভিযোগও মানেননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শুধু ওর জামার কলার চেপে ধরেছিলাম। মারধর করিনি।’’ বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য গোলমালের কথা মেনেছেন।
ব্লক অফিসের কর্মীরা অবশ্য মানছেন, এটা আসলে ক্ষমতা দখলের লড়াই। শিবুনাথবাবু মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের ঘনিষ্ট। আর অভয়বাবু জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের অনুগামী। লড়াই আসলে এই দুই জেলা নেতাকে সামনে রেখে নিজেদের মধ্যে চলছে।
এ দিনের ঘটনায় দু’জনই কোতোয়ালি থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy