Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
ভরা সাঁঝে গুলির লড়াই, জখম দুই

‘এখন সবাই তৃণমূল, গুলি ছুড়ল যারা হয়তো ওরাও’

দু’দল সমাজবিরোধীর গুলির লড়াইয়ে মাঝে পড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা, আর তারই খেসারত দিয়ে এ ফোঁড় ও ফোঁড় হাত নিয়ে তাঁরা এখন হাসপাতালে। বুধবার সন্ধের ওই ঘটনার পরে দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি কাউকেই। ভর সন্ধেবেলায় বহরমপুর শহরের প্রায় লাগোয়া এলাকায় এমন দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য জেলা সদরের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

আহত এক যুবক। বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

আহত এক যুবক। বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৫২
Share: Save:

দু’দল সমাজবিরোধীর গুলির লড়াইয়ে মাঝে পড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা, আর তারই খেসারত দিয়ে এ ফোঁড় ও ফোঁড় হাত নিয়ে তাঁরা এখন হাসপাতালে।

বুধবার সন্ধের ওই ঘটনার পরে দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি কাউকেই। ভর সন্ধেবেলায় বহরমপুর শহরের প্রায় লাগোয়া এলাকায় এমন দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য জেলা সদরের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় বহরমপুর শহর লাগোয়া নিয়াল্লিশপাড়া হল্ট স্টেশনের কাছে হঠাৎই শুরু হয় দু’দল দুষ্কৃতীর গুলিযুদ্ধ। টোটো নিয়ে সেই সময় ওই পথেই ফিরছিলেন সাহাবুল শেখ ও তরিফৎ শেখ। গুলি লাগে তাঁদের হাতে। আপাতত তাঁদের ঠিকানা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

গুলিবিদ্ধ সাহাবুল শেখ তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত ‘নিয়াল্লিশপাড়া ফেরিঘাট টুকটুক ইউনিয়ন’-এর সম্পাদক। গত বুধবারের সন্ধ্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ানের সদস্যরা টোটো নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে।

নিয়াল্লিশপাড়া হল্ট স্টেশন এলাকাতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থাকায় এলাকাটা গঞ্জের চেহারা নিয়েছে। মসুরিডাঙার পাশেই ডিহা গ্রাম। অভিযোগ, স্টেশন এলাকার দখলদারি নিয়ে ওই দু’টি গ্রামের তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে বিবাদ চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ‘‘ডিহা গ্রামের তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর নেতার ভাগ্নে রেল গেটের কাছে তাঁর মোটরবাইক রাখেন। যানবাহন চলাচলের অসুবিধা হবে জানিয়ে মোটর বাইকটি সরিয়ে অন্য জায়গায় রাখার কথা বলেছিল মসুরিডাঙার তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর কয়েকজন। তা নিয়ে বচসা বাধে।’’

তৃণমূলের লালবাগ মহকুমা সভাপতি, রাজীব হোসেন বলেন, ‘‘দু’টি সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর লড়াই। এলাকা দখল নিয়ে এমন দৌরাত্ম্য প্রায়ই চালায় ওরা। তবে কি জানেন, এখন তো সবাই তৃণমূল। সেই হিসাবে ধরলে ওরাও তৃণমূল।’’

ওই ঘটনায় সময়ে বাড়ির দিকে টোটো নিয়ে যাচ্ছিল তরিফৎ এবং সাহাবুল। গুলি লাগে দু’জনেরই। তরিফতের দাদা মারফৎ শেখ বলেন, ‘‘সন্ধ্যা সাতটা বাজবে তখন, ডিহা গ্রামের জনা পঁচিশ ছেলে মোটরবাইক নিয়ে এসে হাজির। শুরু হল এলোপাথারি গুলি। চোখের সামনে দেখলাম টোটো নিয়ে সামনে পড়ে গেল ভাই, তারপর গুলি লেগে লুটিয়ে পড়ল।’’

জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার জানান, ওই ঘটনায় টোটো চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Injured Berhampore TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE