প্রতীকী ছবি।
ফের রক্ত ঝড়ল খড়গ্রামে। দু’পক্ষের বোমার লড়ইয়ের মাঝে পড়ে জখম হল এক ছাত্রী। আহত হয়েছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রও। মঙ্গলবার দুপুর থেকে খড়গ্রামের চন্দ্রসিংহবাটি গ্রামে ওই ঘটনার দুই পড়ুয়া-সহ আহতের সংখ্যা অন্তত তিন এবং পুলিশ ও গ্রামবাসীরা স্পষ্টই জানাচ্ছেন, এলাকা দখলের এই বোমার লড়াই মূলত শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই।
আহত ছাত্রী কাবিরুণ খাতুনকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কাবিরুণ কান্দি রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। আহত ছাত্রের চোট লেগেছে হাতে। দিন কয়েক আগে, তৃণমূলের বুথ কমিটির সহকারী সভাপতি মাইনুল শেখ গুলিতে আহত হয়েছিলেন। এখনও তিনি কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারও দিন কয়েক আগে ওই এলাকাতেই খুন হয়েছিলেন তৃণমূলেরই এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। দিন পাঁচেকের ব্যাবধানে পর পর ওই গুলির লড়াইয়ের জেরেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উস্কে ওঠে পুরনো বিবাদ। বোমার লড়াই প্রায় নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় এলাকায়।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, দুই পক্ষের বিবাদের জেরে গোষ্ঠী কোন্দল এমন জায়গায় গিয়েছে যে জেলা নেতারা তা সামাল দিতে পারছেন না।
খুন এবং গোলাগুলির জেরে ইতিমধ্যেই জাকের শেখ নামে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চন্দ্রসিংহবাটির বাসিন্দা জাকেরের আত্মীয় নাফাই শেখ ও শ্যালিকা বিপুরুন্নেসা বিবিরা তাঁর জামাইবাবু জাকেরকে গ্রেফতার করানোর পিছনে ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রেজাউল শেখ ও তার অনুগামীদের মদত জুগিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy