Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কার্তিকের খুনি কি নাগালেই?

গত দু’দিন ধরেই তৎপরতা তুঙ্গে কোতোয়ালি থানায়। তিন পুলিশ অফিসার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মন্ত্রণায় ব্যস্ত।

আদালতে পিন্টু। —নিজস্ব চিত্র।

আদালতে পিন্টু। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫৯
Share: Save:

গত দু’দিন ধরেই তৎপরতা তুঙ্গে কোতোয়ালি থানায়। তিন পুলিশ অফিসার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মন্ত্রণায় ব্যস্ত। কার্তিক বিশ্বাসের খুনি তাদের হাতের নাগালে এসে গিয়েছে কি না, তা শনিবার রাত পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনা গিয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক কুমুদরঞ্জন বিশ্বাসের সঙ্গী কার্তিকের খুন হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে ওষুধের দালাল সাগর নাথ ওরফে বাবন এবং ওষুধের স্টকিস্ট পিন্টু ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনেই আপাতত পুলিশ হেফাজতে। এ দিন পিন্টুকে কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করে ফের সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। বিচারক পাঁচ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

বস্তুত, যত ক্ষণ না আততায়ী ধরা পড়ছে, পুলিশের স্বস্তি নেই। কেননা এতগুলো দিন কেটে যাওয়ায় তাদের ভূমিকা নিয়ে জেলা জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মোটা টাকা দিয়ে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, এমন সন্দেহের কথাও জানিয়েছে কার্তিকের পরিবার। ফলে, যে ভাবে হোক খুনিকে ধরতে না পারলে যে পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষা করা যে শক্ত হবে, তাতে সন্দেহ নেই।

এই মামলার প্রায় গোড়া থেকেই তদন্তের কাজে যুক্ত রয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আমনদীপ, স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের (এসওজি) ওসি অরিন্দম সেন এবং তদন্তকারী অফিসার হেমন্ত অধিকারী। এ দিনও তাঁরা সারা দিনই জেরা এবং নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ চালিয়ে গিয়েছেন। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, চিকিৎসকের বাড়ির সামনের সিসিটিভি ফুটেজে যে লাল হেলমেট পরা আততায়ীকে দেখা গিয়েছিল, তার সন্ধানে অনেক দূর যাওয়া গিয়েছে।

পুলিশের দাবি, গ্রেফতার হওয়ার পরে বাবন আদৌ জেরায় সহযোগিতা করছিল না। বরং পেশাদার অপরাধীর মতোই অনমনীয় ছিল সে। এমনকি যে পিন্টু খুনিকে নিজের মোটরবাইক দিয়েছিল এবং কাজ সারার পরে হাইরো়ডে ছেড়়ে দিয়ে এসেছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি, তার মুখ থেকেও কারও নাম বার করা যাচ্ছিল না। তবে শেষমেশ জেরার মুখে দু’জনেই ভেঙে পড়েছে এবং জরুরি তথ্য দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করছে। খুনিকে চিহ্নিতও করা গিয়েছে বলে একটি সূত্রের দাবি। তবে এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ কর্তারা এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE