Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

তার কাঁটায় বন্দি, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী

কাঁটাতারের ও-পারে কারও চাষের জমি তো কারও বসতবাড়ি। বিএসএফের অনুমতি নিয়ে তবে মেলে ও-পারে যাওয়ার ছাড়পত্র। সেই অনুমতি দিতেই গড়িমসি করছে বিএসএফ, এ অভিযোগ তুলে শনিবার কৃষ্ণগঞ্জের মাটিয়ারি-বানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৮
Share: Save:

কাঁটাতারের ও-পারে কারও চাষের জমি তো কারও বসতবাড়ি। বিএসএফের অনুমতি নিয়ে তবে মেলে ও-পারে যাওয়ার ছাড়পত্র।

সেই অনুমতি দিতেই গড়িমসি করছে বিএসএফ, এ অভিযোগ তুলে শনিবার কৃষ্ণগঞ্জের মাটিয়ারি-বানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামপ্রধান সীমা নন্দী বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়েছেন।

মাটিয়ারি-বানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা ফুলবাড়ির বাসিন্দা অসীম প্রামাণিক বলেন, ‘‘এ দিকে সীমান্ত পাহারায় রয়েছে বিএসএফের ১১৩ ব্যাটেলিয়ান। তাঁদের ক্যাম্প বানপুরে। এই এলাকার মাটিয়ারি, ফুলবাড়ি, মাঠপাড়ার লোকজনের চাষের জমি তারকাঁটার ও-পারে। এই এলাকার লোকজনকে চাষাবাদের জন্য ও-পারে যেতে হয়। আবার কুলোপাড়া গ্রাম তার কাঁটার ও-পারে। ফলে ও দিকের লোকজনকে মূল ভূখন্ডে আসতে হয়। আর এ জন্য বিএসএফের থেকে অনুমতি নিতে হয়।’’ অসীমবাবুর দাবি, আগে যে কোনও দিন গেলেই অনুমতি মিলত। বিএসএফ একলপ্তে এক মাস পর্যন্ত যাতায়াতের অনুমতি দিত। এখন একলপ্তে ৫-৬ দিনের বেশি অনুমতি দিচ্ছে না। তা ছাড়া অনুমতি নেওয়ার জন্য শনি ও মঙ্গলবার, দু’দিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

কুলোপাড়ার বাসিন্দা বজলু মন্ডল বলেন, ‘‘আমার বাড়ি তারকাঁটার ও-পারে। ও দিক থেকে মূল ভূখণ্ডে আসতে পরিচয়পত্র দেখাতে হয়। কিন্তু মালপত্র আনতে বিএসএফের অনুমতি নিতে হয়। মাঠে বিঘা তিনেক বেগুন চাষ আছে। অনুমতি দিতে গড়িমসি করায় খুব বিপদে পড়েছি।’’

বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE