সপরিবার শান্তিবাবু। নিজস্ব চিত্র
স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সংসার ষাটোর্ধ্ব শান্তি বিশ্বাসের। চোঁয়া থানা সংলগ্ন পাট্টার জায়গাতেই এক চিলতে ঘর। শান্তি পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি। সাইকেল মেরামত করেই সংসার চলে তার। তার উপর রয়েছে হাঁপানির ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা। নিয়মিত ওষুধ কিনতে হয়। পাশাপাশি সংসার চালাতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বছর তিনেক আগে কিছু টাকা পেয়ে বাড়ির কাছেই একটি চালাঘরে ফের সাইকেল মেরামতের কাজ শুরু করেন তিনি। সেই দোকানেই পান, বিড়িও বিক্রি করতেন তিনি। কিন্তু তাতেও সংসার চলত না। মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। কখনও সেলাই মেশিনে কাজ করেই হাত খরচের পয়সা জোটে মেয়ের। মাঝেমধ্যে বাবার কাজে সাহায্যও করতে হয় তাকে। বাড়ির ছোট ছেলে শুভ এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু লকডাউনে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দোকান বন্ধ থাকায় পুঁজি শেষ শান্তির।
তবে রেশন দোকান থেকে পেয়েছেন খাদ্যসামগ্রী। তা ছাড়া বিডিও অফিসের তরফেও পেয়েছেন পাঁচ কেজি চাল, কিছুটা ডাল, সর্ষে তেল। কিন্তু তাতে কতদিন চলবে? ওষুধের দাম পাবেন কী করে? তা ছাড়া আনাজপাতি কিছু তো কিনতে হয়। দুই ছেলেমেয়ের মুখে অন্তত কিছুটা মাছ-মাংস তো দিতে হয়। সংসারে রয়েছে আরও হাজারো খরচ। কোথা থেকে পাবেন? শান্তি বলেন, ‘‘ঘরে তো আর জমানো টাকা নেই। এ ভাবে আর কত দিন চলবে?’’ তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘‘এ ভাবে আর কিছু দিন চললে তো আমাদের না খেয়েই মরতে হবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy