—ফাইল চিত্র।
লকডাউন ভেঙে নির্মীয়মাণ আবাসনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের যুবনেতার জামাইয়ের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, গত বুধবার রাতে ওই আবসনের কাজ চলছিল। পুলিশ গিয়ে কাজ থামায়। অভিযোগ উড়িয়ে ওই যুবনেতা ও তাঁর জামাইয়ের দাবি, লকডাউনের পরে আবাসনের কাজ এগোয়নি।
চাকদহ শহর বিজেপি সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস বলেন, “লকডাউনের মধ্যে বুধবার রাতে সেখানে কাজ শুরু হয়েছিল বলে জানতে পারি। শেষে পুলিশ গিয়ে সেই কাজ থামিয়েছে। আমরা সবাই যখন লকডাউন মানছি, সেই সময় রাজ্যের শাসকদলের এক জন নেতার পক্ষে এই কাজ করতে যাওয়া একেবারে ঠিক হয়নি।”
রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকদহের পূর্বপাড়ে বসন্তকুমারী বালিকা বিদ্যাপীঠের সামনের রাস্তার ধারে চাকদহ শহরের তৃণমূলের যুবনেতা সাধন বিশ্বাসের জামাই শান্তনু বসু মার্কেট এবং আবাসন তৈরি করছেন। অভিযোগ, লকডাউন জারি হলেও সেই কাজে ছেদ পড়েনি। অভিযোগ অস্বীকার করে ওই যুবনেতা সাধন বিশ্বাস বলেন, “ওই প্রজেক্টটা আমার জামাইয়ের। লকডাউনের পর সেখানে কোনও কাজ হয় নি।” আর শান্তনু বলেন, “লকডাউন জারির সপ্তাহ খানেক আগে আবাসনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।” শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভিতের রড বাঁধার কাজ শেষ হয়েছে। তবে কাউকে কাজ করতে দেখা যায়নি। ওই আবাসনের কাজে যুক্ত এক শ্রমিক জানান, এর পর ভিতে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। তা করতে হলে কমপক্ষে ১০০ জন শ্রমিককে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। যা এখন কোনও মতে সম্ভব নয়।
ওই যুবনেতা চাকদহের বিধায়ক তৃণমূলের রত্না ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। রত্না বলেন, “লকডাউনের সময়ে কাজ হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়।” তার পর একধাপ এগিয়ে তাঁর দাবি, “ওই জায়গায় কেন, চাকদহ বিধানসভা এলাকায় কোথাও কাজ হচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy