কামালউদ্দিন মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি ছিল রোজনামচা। নিত্যদিনের সেই কাহিনি গা-সওয়া হয়ে গিয়েছিল পড়শিদেরও। তবে বুধবার রাতে সেই অশান্তি চরমে ওঠে। লোকজন ছুটে এসে দেখেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বছর চল্লিশের যুবক কামালউদ্দিন মণ্ডল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, বেশ কিছুক্ষণ আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।
বুধবার রাতে নওদার কামাদপুরের ওই ঘটনার পরে হতবাক এলাকার লোকজন। তাঁরা জানান, অশান্তি সব সংসারেই হয়। তাই বলে এমনটা? অভিযোগ, স্ত্রী ও ছেলে মিলে কামালউদ্দিনকে মারধরের পরে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন। পুলিশ কামালউদ্দিনের স্ত্রীকে জি়জ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
অভিযোগ, কামালউদ্দিনের স্ত্রী-র অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ লেগেই ছিল। দিন তিনেক আগে কামালউদ্দিনের স্ত্রী ঝগড়া করে কোদালকাটি গ্রামে বাবার বাড়ি চলে যান। মঙ্গলবার স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন কামালউদ্দিন। কিন্তু বাড়ি ফিরেই ফের বচসা শুরু হয়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে।
কামালউদ্দিনের ভাই জাহাঙ্গির মণ্ডল ও টোকন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘বৌদির অন্য একটি সম্পর্ক মানতে পারত না দাদা। তা নিয়েই অশান্তি ছিল। দাদা রাগ করে এক বার মহারাষ্ট্রেও চলে গিয়েছিল। সেখানে ঝালাইয়ের কাজ করত। মাস খানেক আগে বাড়ি ফিরে আসে। তার পরে ফের ঝামেলা শুরু হয়। বৌদি তিন দিন আগে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিল। মঙ্গলবার ফেরে। দাদাই তাকে নিয়ে আসে। কিন্তু এসেই ডিভোর্স চায়। বুধবার রাতে তা নিয়েই অশান্তি বড় আকার নেয়। তার পরে বৌদি ও ভাইপো মিলে দাদাকে খুন করে।’’
বৃহস্পতিবার মর্গ থেকে ফিরে পরিবারের লোকজন কামালউদ্দিনের স্ত্রী, ছেলে-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। আটক করা হয়েছে নিহতের স্ত্রীকে। কামালউদ্দিনের ছেলের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy