চিকিৎসা পরিষেবায় খুশি এলাকা। নিজস্ব চিত্র
প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব ঘোচেনি, কিন্তু করোনাভাইরাসে সাধারণ মানুষের মনে সাহস জোগাতে সামান্য ক্ষমতা নিয়েই হাসিমুখে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করে চলেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এটি জেলার মধ্যে অন্যতম বড় গ্রামীণ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে ৬০টি শয্যার ব্যবস্থা আছে। ওই ব্লকের ঝিল্লি, পদমকান্দি, পারুলিয়া, এড়োয়ালী, ইন্দ্রাণীর মতো বারোটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় দুই লক্ষ বাসিন্দা ওই হাসপাতালের উপর নির্ভর করে থাকেন। কিন্তু ওই হাসপাতালের প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক যেমন কম, ঠিক একই ভাবে নার্স ও অনান্য স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও অনেক কম। গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে সব মিলিয়ে ৩০টি শয্যা থাকে, কিন্তু খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ৬০টি শয্যার পরেও আরও অতিরিক্ত ৬০টি শয্যার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। কারণ ওই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি। ওই হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় ১২ জন চিকিৎসক কম আছেন। মাত্র ছয় জন চিকিৎসক নিয়েও হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে অন্তর্বিভাগের চিকিৎসা চলছে। একই ভাবে ওই হাসপাতালে নার্সের প্রয়োজন ৪২জন কিন্তু আছে মাত্র ১৪জন নার্স, একই ভাবে চতুর্থশ্রেণির কর্মী, সুইপার, ফার্মাসিস্ট সমস্ত ধরণের স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব ওই হাসপাতালে আছে। বিনয় দাস, জাজাল শেখরা বলেন, “চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাব আমরা জানি, কিন্তু তারপরেও ওই হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে কেউ ফিরে গিয়েছে এমনটা হয় না।”
হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ থেকে বহির্বিভাগের চিকিৎসা পরিসেবা করার পরেও সর্বক্ষণের জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর অপেক্ষায় বসে থাকেন। যাতে কোন রোগী চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন এমনটা না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy