অভিযুক্তদের কাউকেই তাঁরা চেনেন না।
সোমবার কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের (তৃতীয়) বিচারক পার্থসারথী মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে অপর্ণা বাগ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে এমনটাই জানালেন তিন সাক্ষী। এ দিন সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন লতিকা তরফদার (ঘটনার দিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন লতিকাদেবী), গোপেশ্বর মাজি ও নরেন ধারা। প্রথমে সাক্ষ্য দিতে ওঠেন লতিকাদেবী। আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ধৃতদের কাউকেই চিনতে পারেননি তিনি।
সরকার পক্ষের আইনজীবী বিকাশ মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে এ দিন লতিকাদেবী আদালতে দাবি করেন যে, ঘটনার দিন গণ্ডগোলের খবর পেয়ে তিনিও মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঠে পৌঁছনোর আগেই তিনি দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন। সেই কারণে সে দিন মাঠে কারা গুলি চালিয়েছিল তা তিনি জানেন না। একই ভাবে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী অপর্ণা বাগের প্রতিবেশী গোপেশ্বর মাজিও আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কাউকেই চিনতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি লরি চালাই। ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলাম না। অপর্ণা বাগের মৃত্যুর ঘটনার দু-তিন দিন পরে আমি বাড়ি ফিরেছি।’’ পুলিশও তাঁকে কোনওদিন কিছু জানতে চাননি বলে আদালতে দাবি করেন তিনি।
আর এক সাক্ষী অপর্ণাদেবীর প্রতিবেশী নরেন ধারা জানিয়েছেন যে, কোথায়, কখন কী ভাবে অপর্ণাদেবী মারা গিয়েছেন তা তিনি জানেন না। তিনিও এ দিন আসামিদের কাউকে চিনতে পারেননি। বিকাশবাবু বলেন, ‘‘আমার আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক তিন সাক্ষীকেই বিরূপ ঘোষণা করেছেন।’’ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ হবে ২০ জুলাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy