প্রতীকী ছবি।
কখনও নিঝুম দুপুরে গোরাবাজারের রাস্তায়, কখনও বা ভরা ভিড়ের ইন্দ্রপ্রস্থ রোডে— গত কয়েক মাস ধরে বহরমপুর জুড়ে বাড়ছিল ছিনতাইয়ের ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়ায় এক জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করার পরেই গত কয়েক মাস ধরে চলা এই আতঙ্কের শেকড় খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ব্যক্তির নাম রুদ্র প্রসাদ। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু বহরমপুর নয়, মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জায়গাতেই অপারেশন চালাত সে। বহরমপুর ও লাগোয়া অন্তত পাঁচটি থানার পুলিশ তাঁর খোঁজ করছিল। তবে এ দিন বেলডাঙার একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বহরমপুরের আদালতে হাজিরা দেওয়ার উদ্দেশে রুদ্র প্রসাদ এক সঙ্গীকে নিয়ে স্কুটি চালিয়ে খাগড়ার পথ ধরে যাচ্ছিল। সেই সময়ে খাগড়া পুলিশ ফাঁড়ির এক কনস্টেবল মোটরবাইকে চড়ে ওই পথে যাচ্ছিলেন। ওই ছিনতাইকারীকে পাশ দিয়ে স্কুটি চালিয়ে চলে যেতে দেখে ওই কনস্টেবল মোটরবাইক থেকে নেমে ছুটে গিয়ে তাঁকে জাপটে ধরে। দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তির মাঝে স্কুটির পিছনে বসা এক জন ছিনতাইকারি পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামিনে মুক্ত অবস্থায় ওই ছিনতাইকারী বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। ফলে এ দিন ধরা পড়ায় তাকে জেরা করে বহরমপুর-সহ পাঁচটি থানা এলাকার বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের কিনারা হবে বলে জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান।
সম্প্রতি খাগড়া এলাকায় একটি কেপমারির ঘটনা ঘটে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বের হন এক ব্যক্তি। সেই সময়ে ভিড় রাস্তায় স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই ব্যক্তির গায়ে স্প্রে করে ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছিল দুজন দুষ্কৃতী। পরে ওই এলাকার সিসিক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারীদের মধ্যে এক জনকে পুলিশ শনাক্ত করতে পেরেছিল। এ দিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ দুজন মোল্লাগেড়ের মোড় থেকে রাজীব গাঁধী মূর্তির দিকে স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিল। তখনই পুলিশ ধরে ফেলে। ধৃতের মোবাইল এবং স্কুটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, হালিশহর থেকে ভোরের ট্রেনে চেপে বহরমপুর স্টেশনে নেমে স্কুটি ও বাইক নিয়ে কেপমারি ও ছিনতাই করে। যে স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিল ধৃত ব্যক্তি, সেটিও নদিয়ার পলাশি থেকে চুরি করে এনে বহরমপুর স্টেশন লাগোয়া একটি গ্যারাজে রেখে দিয়েছিল।
পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার জানান, সম্প্রতি বহরমপুর থানায় আশি হাজার টাকা ছিনতাইয়ের একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার, তাকে আদালতে তোলা হবে। জেরা করে বিভিন্ন ছিনতাইয়ের তদন্তের কিনারা করতে ধৃত ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে আদালতে। ওই ঘটনায় জড়িত বাকি ছিনতাইকারীদেরও গ্রেফতার করা হবে। উদ্ধার করা হবে ছিনতাইয়ের টাকাও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy