আদালতে সাজা ঘোষণার পরে সুখেন ভদ্র।—নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র খুনের ঘটনায় সুখেন ভদ্র নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কৃষ্ণনগর জেলা আদালত। শুক্রবার জেলা জজ চক্রলাল সিংহ ওই সাজা ঘোষণা করেন।
সরকারি আইনজীবী সত্যেন্দুশেখর রায় জানান, ২০১৩ সালের ১৪ জুন রাত ১১টা নাগাদ বন্ধুদের দিয়ে ডেকে এনে কৃষ্ণগঞ্জ অনিল স্মৃতি হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মৃন্ময় সিংহকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সুখেন। সেই মামলার এ দিন সাজা ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে কীর্তনের আসর বসেছিল। এলাকারই এক মহিলা কীর্তনের আসর থেকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিহতের দাদা তন্ময়বাবুকে অনুরোধ করেন। রাস্তায় তন্ময়বাবুর সঙ্গে সুখেনের দেখা হয়। সুখেন তাঁকে কটূক্তি করে। তন্ময়বাবু তার প্রতিবাদ করলে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তন্ময়বাবু জানান, তাঁরা দু’জনেই আবার কীর্তনের আসরে ফিরে আসেন। দাদার থেকে খবর পেয়ে নিহত ওই ছাত্র ফের ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে। এর পর সুখেন মৃন্ময়কে খুনের ছক কষে।
ওই রাতেই সুখেন মৃন্ময়ের এক বন্ধুর মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য বাড়ির কাছে ডেকে পাঠায়। মোটরবাইকে চেপে বন্ধুদের সঙ্গে নির্ধারিত স্থানে গেলে ধারাল অস্ত্র নিয়ে মৃন্ময়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মৃন্ময়ের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার জেরে সে দিন রাতেই এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা সুখেনের বাড়িতে হামলা চালায়। পরের দিন দিন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখানো হয়।
তদন্তের শুরুতে মৃন্ময়ের বন্ধুদেরও অভিযুক্তদের তালিকায় রাখা হয়। কিন্তু পরে তারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় জেনে চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy