Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভোট কড়চা

সীমান্ত লাগোয়া ফতেপুর। দুপুর তখন সোয়া ২টো। জমজমাট ভোটপর্ব। সাইকেল চেপে ভোট দিতে এলেন এক ভদ্রলোক। হাতের কাছে বিজেপি সভাপতিকে পেয়ে এগিয়ে গেলেন তিনি।

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:০২
Share: Save:

আস্তে বলুন কর্তা

সীমান্ত লাগোয়া ফতেপুর। দুপুর তখন সোয়া ২টো। জমজমাট ভোটপর্ব। সাইকেল চেপে ভোট দিতে এলেন এক ভদ্রলোক। হাতের কাছে বিজেপি সভাপতিকে পেয়ে এগিয়ে গেলেন তিনি। জেলা বিজেপির সভাপতি কল্যাণ নন্দী তাঁকে জানতে চাইলেন, “কী ভোট কেমন পড়ছে?” এই ভদ্রলোক জেলা সভাপতির কানের কাছে মুখ এনে বললেন, “আস্তে বলুন কর্তা। আমরা বামপন্থী লোক। তৃণমূলকে হঠাতে চাইছি। ভোটও পড়ছে সেই মতো।” বলাই বাহুল্য, এরপর আর বিশেষ কথা এগোয়নি।

নাছোড়বান্দা

ময়ূরহাটে রাস্তার উপর বিজেপির মিটিং পর্ব শেষ হতেই স্থানীয় এক মন্দিরের দিকে সাইকেল চেপে চললেন এক বিজেপি কর্মী। ব্যাপারটা নিয়ে সবাই উৎসুক। এক কর্মী বলেই ফেললেন “কোথায় যাচ্ছেন?” চকিতে জবাব এল, “আমার ঠাকুরের খাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। তাই ঠাকুরকে খাওয়াতে যাচ্ছি।” কথাটা কানে আসতেই পাশের ব্যক্তির সরস মন্তব্য, “সকলে ব্যস্ত ভোট নিয়ে। ঠাকুর সেটা জানেন তো।” কে শোনে কার কথা! ততক্ষণে নাছোড় সেবাইত নাগালের বাইরে।

আলো হয়

দুপুর সাড়ে ১২টা। ময়ূরহাট এক নম্বর ব্লকে পায়রাডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০৪ নম্বর বুথে পর্যাপ্ত আলোর অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ভোটাররা। পরে প্রিসাইডিং অফিসারকে বলে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কেন এতক্ষণ আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রিসাইডিং অফিসার জানান, কেউ কোনও অভিযোগ করেননি।

মাংসে থাবা

দুপুর ১টা। বাথানগাছি থেকে খবর এল বুথের একশো মিটারে মধ্যে একটি মুদিখানার দোকান থেকে তৃণমূলের তরফে মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। দোকানের মালিক এলাকায় তৃণমূলের সদস্য বলে পরিচিত। খবর পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছেও। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে বন্ধ করে দিল সেই দোকান। সাধের মাংস আর খাওয়া হল না।


ভোটের টুকিটাকি

• কালীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে যাওয়ার সময় বিজেপি প্রার্থী মানবেন্দ্র রায়কে ‘গো ব্যাক’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মীরা। সেই কর্মীদের সরিয়ে দিতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।

• হাঁসখালির দহরবুইচা গ্রামের ১৪৩ ও ১৮৪ নম্বর বুথে থেকে বেরোনোর সময় মানবেন্দ্রবাবুকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

• কালীপাড়ার ১৬৭ ও ১৬৮ নম্বর বুথের কাছেও ভিড় করেছিল তৃণমূলের লোকজন। সেখান থেকে বিজেপির এক পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।

• পাটকেমারি প্রাথমিক স্কুলের ১৯২ নম্বর বুথে ঢুকে দেখা যায় বুথের ভিতরে মোবাইলে দিব্যি কথা বলে চলেছেন তৃণমূলের এক পোলিং এজেন্ট। পরে প্রিসাইডিং অফিসারের হস্তক্ষেপে ওই এজেন্ট মোবাইল বন্ধ করে দেন।

• দুপুর দেড়টা নাগাদ ১৭৮ নম্বর বুথে ভোট দিতে এসে গোবিন্দপুর কলোনির বাসিন্দা শ্রীলা দাস বর্মন দেখেন তাঁর ভোট অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছে।

• কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে ২৮৮টি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও তাদের কতটা কাজে লাগিয়েছে রাজ্য পুলিশ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে বিরোধীরাও। ভোটের হার: ৮৫ শতাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

krishnaganj by election bjp tmc
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE