পথ আটকে বিক্ষোভ। ছবি: বিশ্বজিৎ রাউত।
রক্ত দিতে এসেও তা না দিতে পেরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে জলঙ্গি থানার নরসিংহপুর বাজার এলাকায়।
এ দিন প্রায় শ’খানেক মানুষ রক্ত দেওার জন্য হাজির হলেও সরঞ্জাম ও কর্মীর অভাবে ৩৪ ব্যাগ রক্ত নেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্প। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আয়োজক সংগঠন ডিওয়াইএফ-র কর্মীরা ও রক্ত দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা রক্ত সংগ্রহ করতে আসা লালবাগ ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীদের ঘেরাও করেন। অবরোধ করা হয় জলঙ্গি-বহরমপুর রাজ্য সড়কও। পরে ৫টা নাগাদ ডোমকলের এসিএমও এইচ প্রবীর মাণ্ডি গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বললে প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে চলা অবরোধ ওঠে।
ডিওয়াইএফ-র উদ্যোগে প্রতি বছর ক্যালেন্ডার বানিয়ে জেলা জুড়েই চলে রক্তদান শিবির। সেই মতো এবারও জলঙ্গির নরসিংহপুর বাজারে ওই সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, অনেকে কয়েক কিমি দূরের গ্রাম থেকে সাইকেল চেপেও রক্ত দিতে এসেছিলেন। প্রায় শ’খানেক মানুষ হাজির হন রক্ত দেওয়ার জন্য। কিন্তু ৩০ জনের রক্ত নেওয়ার পরে রক্ত সংগ্রহ করতে আসা কর্মীরা জানান তাঁরা আর রক্ত নিতে পারবেন না। এতে রক্তদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা হইচই শুরু করেন।
ডিওয়াইএফ-র জেলা সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, “ওই ব্লাড ব্যাঙ্কের কাছে আমরা ১০০ জন ব্যক্তির রক্ত নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম। ওরা জানিয়েছিল ৭০ জনের বেশি ব্যক্তির রক্ত নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এ দিন ৩৪ জনের রক্ত নেওয়ার পর বাকিদের রক্ত নিতে চাননি তাঁরা।”
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যান ডোমকলের এসিএমওএইচ প্রবীর মাণ্ডি। তিনি জানান, রক্ত না নিতে পারাটা তাঁদের দুবর্লতা। সে জন্য তাঁরা ক্ষমাপ্রার্থী। পরবর্তীতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তা দেখবেন বলে আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। চক রামপ্রসাদ গ্রাম থেকে রক্ত দিতে এসেছিলেন আইনাল বারি। তিনি বলেন, “যদি কারও উপকারে আসতে পারি এই ভেবে অনেক কাজ ফেলে রক্ত দিতে এসেছিলাম। কিন্তু ঘণ্টা খানেক লাইনে দাঁড়ানোর পর জানতে পারি রক্ত নেওয়া হবে না।”
যদিও ওই ক্যাম্পের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা বৃহস্পতিবার ওই সংগঠনের অফিসে জানিয়ে দেন ৩০ ব্যাগের বেশি রক্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তারপরেও কেন এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy