বাগডোগরার বিহার মোড়ে অবরোধ। বুধবার রাতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের এক তরুণী অপহরণের মামলায় বিচারাধীন বাগডোগরার যুবক মনোজ চৌধুরীর মৃতদেহ নিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একটি গাড়িও।
বুধবার সন্ধ্যায় বাগডোগরা বিহার মোড়ে নকশালবাড়িগামী ৩১সি জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ অবরোধে যানজট হয়। প্রথম দফায় সন্ধ্যা ছ’টা থেকে সাতটা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে গেলেও রাত আটটা নাগাদ ফের অবরোধ শুরু হয়। গাড়ির চাকা জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকে। রাত পর্যন্ত অবরোধ চলে।
মৃত মনোজের পরিবারের দাবি, মনোজকেও সম্ভবত মারধর করে খুন করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় তাঁর বাবা-ভাইকে ফাঁসানো হয়েছিল। বর্তমানে তাঁরা উত্তরপ্রদেশের আজমগঢ়ের জেলে বন্দি। এ দিন পরিবারের দাবিমত পুলিশ বাগডোগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “পরিবারের দাবিমত ফের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু অন্য রাজ্যের বিচারাধীন মামলায় পুলিশের পক্ষে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।”
তৃণমূল নেতা গৌতম কীর্তনীয়া বলেন, “ওই পরিবার-সহ বাসিন্দারা ঘটনায় আতঙ্কিত। মনোজবাবুর বাবা ভোগীবাবু এবং তাঁর ভাই পিঙ্কুবাবু বেঁচে আছেন কি না তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। বিষয়টি দেখা দরকার।”
উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করতেন শিলিগুড়ির বাগডোগরার বাসিন্দা মনোজ। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলের মালিকের মেয়ে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। তাঁদের না পেয়ে বাগডোগরা থেকে মনোজের বাবা ও ভাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মনোজ-সহ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। মনোজ গ্রেফতারও হয়। গত ২০ জুলাই খবর আসে মনোজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দাদু কামেশ্বর প্রসাদ সেখানে গেলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে নতুন করে মৃতের পরিবারের লোকজন পুলিশে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিন দেহটি ফের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর অবরোধ, বিক্ষোভ হয়। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পুলিশ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপরহণের মামলার নথিপত্রও চেয়ে পাঠিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy