উদ্ধার হওয়া সোনা। নিজস্ব চিত্র
সোনা নিয়ে ফের ধরা পড়ল এক যুবক। অসম থেকে ৩ কোটি টাকারও বেশি সোনা তার হাওড়ায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ। সোনায় সুইৎজারল্যান্ড, চিন এবং অস্ট্রেলিয়ার হলমার্ক করা রয়েছে। রাজু তার জন্য বৈধ কোনও নথি দেখাতে পারেনি। গোয়েন্দাদের দাবি, জেরার মুখে সে শিকার করে, অসমে মণিপুরের এক ব্যক্তির কাছে সে সোনাগুলি নিয়েছিল।
বিদেশি সোনা পাচারের অন্যতম করিডোর হিসেবে ভূটান ছাড়াও, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, অসমের বিভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। গত ছ’মাসে অন্তত চারটি এরকম ঘটনা ঘটেছে।
একই কায়দায় সোনা পাচার হয়েছে। সেপ্টেম্বরে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁর এসডিপিও অনিরুদ্ধ ঠাকুরসহ আরও দুই রাজ্যপুলিশকর্মী দুই সেনা জওয়ানের সঙ্গে ১৫ কেজি পাচারের নিজেরাই নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা শাখার হয়ে এদিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী ত্রিদিব সাহা। তিনি বলেন, ‘‘এটা একটি আন্তর্জাতিক পাচার চক্র বলে আমরা সন্দেহ করছি। অসম থেকে কলকাতা হয়ে সোনা শিলিগুড়িতে ঢুকেছিল বলে জানতে পারছি।’’ অভিযুক্তের আইনজীবী অখিল বিশ্বাস বলেন, ‘‘বার বার এভাবে শহরের মধ্যে সোনা ধরে তাকে পাচার বলে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাচার বলতে গেলে তা সীমান্ত ধরতে হয়।’’
অসম থেকে ৩ কোটি টাকারও বেশি সোনা তার হাওড়ায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু আগে থেকে খবর পাওয়ায় তা বানচাল হয়ে যায়। শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশন থেকে তাকে ডাউন কামরূপ ট্রেন থেকে ধরা হয় বলে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন। তার বাড়ি হুগলির মুকুন্দপুরে। এই নিয়ে গত কয়েক মাসে রাজ্যে মূলত উত্তরবঙ্গ এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধৃত পাচারের সোনার পরিমাণ দাড়াল ৩৪৫ কোটি টাকা, যার বাজারদর প্রায় ১০৭ কোটি টাকা।
রাজুর বিরুদ্ধে শুল্ক আইন লঙ্ঘনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ১ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম বিচারক কিংশুক সাধুখাঁ। সোমবার তাকে ফের আদালতে তোলার কথা। চক্রে আর কারা রয়েছে, তার খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy