অতন্দ্র: কড়া প্রহরা আলিপুরদুয়ার থানায়। নিজস্ব চিত্র
সোনা পাচার নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য পুলিশ কর্তৃপক্ষও।
সরকারি সূত্রের খবর, গত সোমবার রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র উত্তরবঙ্গে সাম্প্রতিক সোনা পাচারের কথা উল্লেখ করে সব জেলার পুলিশ সুপারদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকার থানাগুলিকে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ কর্তারা। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ও সিআইডিকেও সন্দেহভাজন সোনা পাচারকারীদের তালিকা ও গতিবিধি নিয়ে বিশদে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ কর্তারা। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, বিশদ তথ্য-পরিসখ্যান মেলার পরে সোনা পাচার রুখতে প্রয়োজনে বিশেষ দল গঠন করা হবে।
কিন্তু, বিশেষ দল গড়লেই যে খুব কাজের কাজ হবে না তা মনে করেন না পুলিশ অফিসারদের অনেকেই। কারণ, কেন্দ্রের তরফে সোনা ও মাদক পাচার রুখতে বিশেষ রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ তৈরির পরেও পাচারকারীদের কতটা শায়েস্তা করা যাচ্ছে তা নিয়ে গোয়েন্দাদের মধ্যে ধন্দ রয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ৫ বছর উত্তরবঙ্গের নানা এলাকায় সোনা উদ্ধারের মামলার সংখ্যা শতাধিক। কিন্তু, বড জোর ৩০টি মামলায় চার্জশিট হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রেই জানা গিয়েছে। তবে চার্জশিট হলেও এখনও অধিকাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। গোয়েন্দা অফিসারদের একাংশ জানান, মামলায় ধৃতরা জামিন পাওয়ার পরে ফেরার হয়ে গিয়েছে। তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মামলা ঝুলে থাকছে বলে তাঁদের একাংশের দাবি।
অভিযুক্তদের ধরার ক্ষেত্রে নানা সমস্যাও রয়েছে। যেমন, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের নানা এলাকায় গত বছরে নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, ভুটান, নেপালে বসবাসকারী পাচারকারীরা ধরা পড়েছে। জামিন পাওয়ার পরে ওই পাচারকারীদের দেশের অন্যপ্রান্তে ‘ক্যারিয়র’ হিসেবে নিযুক্ত করে দেয় কারবারিরা। ফলে, রাজস্থানের যে ‘ক্যারিয়র’ শিলিগুড়িতে ধরা পড়ার দু-তিন মাস পরে জামিন পেয়েছে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নাগাল্যান্ডে। আবার নাগাল্যান্ডের কাউকে পাঠানো হয় রাজস্থানে। বিশেষ কমিটির এই বিষয়টিও দেখা উচিত বলে মনে করছেন অনেকে।
(শেষ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy