প্রতীকী ছবি
২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হলেন ১৬ জন। এই প্রথম একদিনে একসঙ্গে এত জন করোনায় আক্রান্ত হলেন বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি শহরে করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরে। এসবিআই টাউন শাখার এক মহিলা কর্মী ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন বন্দিও করোনায় আক্রান্ত হন বলে দাবি। মঙ্গলবার কয়েক দিনের জন্য ব্যাঙ্ক বন্ধ করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেল। কন্টেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা ২৮টি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ দিন জলপাইগুড়ি জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ জন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাটগোলার এক মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এসবিআই-এর টাউন শাখার কর্মী। তাই এ দিন ব্যাঙ্ক জীবাণুমুক্ত করে কয়েক দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। লাগোয়া এটিএম কাউন্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন বন্দি, পুলিশ ব্যারাকেরও এক জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তিন জন ও ১, ২, ২৪, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একজন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। আক্রান্তদের বাড়ির এলাকা জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে বাথরুম পড়ে গিয়ে জখম হন দেশবন্ধু পাড়ার এক বৃদ্ধ। ভর্তি ছিলেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। করোনা উপর্সগ থাকায় তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হন বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃদ্ধের পরিবার তাঁকে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও মৃত্যুর কারণ করোনা কিনা, তা স্পষ্ট করেনি স্বাস্থ্য দফতর। পুর-প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সন্দীপ মাহাতো বলেন, ‘‘প্রশাসনের নির্দেশ সকলকে মেনে চলতে হবে।’’ আরও এক সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকলকে বলব, জরুরি কাজ ছাড়া বার হবেন না। পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy