মৃত: কালচিনিতে দেহ মিলল এই চিতাবাঘটির। নিজস্ব চিত্র
মাঝে মধ্যেই গায়েব হয়ে যাচ্ছিল শুয়োর। সে জন্য শুয়োর রাখার খোঁয়াড়ের সামনে তারের ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন বাড়ির মালিক। আর তাতে ফাঁস লেগে মৃত্যু হল একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘের। চিতাবাঘটির দেহে ব্লেডের ক্ষতের চিহ্নও মিলেছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার রাতে কালচিনির মালঙ্গি চা বাগানের ভোলা লাইনের এই ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক সূরয ওরাওঁকে গ্রেফতার করেছেন বনকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কালচিনি ব্লকের মালঙ্গি, বিচ চা বাগান সহ আশপাশের এলাকায় নানা সময়ই চিতাবাঘের হানার ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেও বিচা চা বাগানে চিতাবাঘের হানায় সাত বছরের এক শিশু জখম হয়েছিল। এরফলে বিচ চা বাগানে চিতাবাঘের একটা আতঙ্ক রয়েইছে। সেইসঙ্গে সেই আতঙ্ক মলঙ্গি চা বাগানের কিছু এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই বাগানের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রতিদিন রাত হলেই বেশ কিছু এলাকায় চিতাবাঘের উৎপাত শুরু হয়।
বন দফতরের কর্তাদের কথায়, এরই মধ্যে মালঙ্গি চা বাগানের ভোলা লাইনের বাসিন্দা সূরয ওরাওঁয়ের শুয়োর উধাও হয়ে যাচ্ছিল। মোটর সাইকেলের ব্রেকের তার দিয়ে একটি ফাঁদ পাতেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ ওই ফাঁদেই ফাঁস লেগে যায় পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘটি। ফাঁস লাগার পরই ছটফট শুরু করে সে। শব্দ পেয়ে আশাপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। কিন্তু কেউ চিতাবাঘটির ফাঁস খোলার সাহস পাননি। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের নীলপাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তত ক্ষণে অবশ্য ছটফট করতে করতে চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছে। জলদাপাড়ার ডিএফও কুমার বিমল বলেন, ‘‘তারের ফাঁসেই চিতাবাঘটি মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চিতাবাঘটির দেহে ব্লেডের ক্ষতের চিহ্নও মিলেছে। তার মানে আশাপাশে কোথাও থাকা ব্লেড লাগানো তারের বেড়ায় আগে সেটি জখম হয়।’’
জলদাপাড়ার সহকারী বন্যপ্রাণ সহায়ক দেবদর্শন রায় জানিয়েছে, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে ওই ব্যাক্তিকে চিতাবাঘ খুনের দায়ে সূরযবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy