কোনও দিক না দেখে মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচানোর জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য জলপাইগুড়ি সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চা বাগানের শ্রমিক বিমল লোহার দেখলেন, বাস্তবটা অন্যরকম। একে তো সরকারি হাসপাতাল তাঁকে ওষুধ দিতে পারেনি, তার উপর ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে গিয়ে বিমলকে টাকার অভাবে শেষে মোবাইল ফোন বন্ধক রাখতে হয়। তবে ওষুধ নিয়ে আসার পরে কিন্তু তিনি তাঁর স্ত্রী বিহানী লোহার(২৭)কে বাঁচাতে পারেননি।
এই নিয়ে পরে ক্ষুব্ধ জেলা স্বাস্থ্য দফতর এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এমনটা হয়ে থাকলে নিয়ম বিরুদ্ধ হয়েছে৷ যদি দেখা যায় ওই সময় হাসপাতালে ওই ওষুধটি নেই তখন হাসপাতালের কর্মীদেরই দায়িত্ব তা কিনে আনা৷ যার জন্য সুপারের নামে অর্থ বরাদ্দও দেওয়া রয়েছে৷ কোনও অবস্থাতেই রোগীর আত্মীয়কে ওষুধ কিনতে বলা যায় না৷’’ সিএমওএইচ জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত হবে৷
রংধামালির রাজপুর চা বাগানের শ্রমিক বিমলবাবু জানিয়েছেন, সোমবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন তার স্ত্রী বিষ খেয়েছেন৷ সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে তাঁকে বাগানের হাসপাতাল ও পরে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে তাকে একটি ইঞ্জেকশন ও একটি টিউব কিনতে বলা হয়৷
আরও পড়ুন: পণ না নিয়ে বিয়ে, গর্বিত আলিপুরদুয়ারবাসী
শেষ পর্যন্ত পরিচিত এক জনের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত দোকানে বাকি টাকা দিয়ে মোবাইল ছাড়িয়ে এনেছেন বিমলবাবু৷ ওষুধের দোকানের ইনচার্জ কৌশিক রায়ের বক্তব্য, ‘‘মানবিকতার খাতিরে অনেক রোগীর আত্মীয়কেই বাকিতে ওষুধ দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু বেশিরভাগ আর টাকা ফেরত দেননি৷ সেই জন্যই হয়তো ওই ব্যক্তির থেকে মোবাইল রাখা হয়েছিল৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy