প্রতীকী ছবি।
রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শহরের এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। সেবক রোডের দুই মাইলের একটি নার্সিংহোমে শ্বাসকষ্টে ভোগা এক ব্যক্তিকে আনা হয়েছিল বুধবার রাতে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, শয্যা ফাঁকা নেই জানিয়ে রোগীকে ভর্তি নিতে চায়নি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। শেষে ওই রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান। র্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে লালারস পরীক্ষায় তাঁর করোনা সংক্রমণ মিলেছে। শিলিগুড়ির নেতাজিপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের পেনসনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রশাসনের কাছেও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জানাবেন বলেছেন তারা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
ওই নার্সিংহোম পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত শুভদীপ গুহ ঠাকুরতা বলেন, ‘‘যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। রোগীর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে বিশেষ আইসোলেশনে রাখার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সে সময় ওই ওয়ার্ডে শয্যা ফাঁকা ছিল না। রোগীর লোকদের তা জানানো হয়। এরপর তাঁরা রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যান।’’ তাঁর দাবি, যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে রোগীকে আনা হয়েছিল তাতে রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করে অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
রোগীর পরিচিতেরা জানান, যখন রাতে ওই অসুস্থ ব্যক্তিকে সেবক রোডের নার্সিংহোমটিতে নিয়ে যাওয়া হয় তখন সঙ্গে ছিলেন পেনসনার্স সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, রোগীকে ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। সেখানে রোগীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক দেখেন। চিকিৎসক দেখার পরে জানান পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। পরিজনদের দাবি, তাঁদের বলা হয় জায়গা নেই তাই রোগীকে এখানে ভর্তি করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে নার্সিংহোমগুলোতে নিয়ে গেলে ফের সমস্যা হতে পারে ভেবে তারা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিয়ে যান বলে জানান।
সংগঠনের সম্পাদক অজিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘নার্সিংহোমে প্রাথমিক চিকিৎসার দরকার ছিল। ওই অবস্থায় রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে গেলে বিপত্তি ঘটতেই পারে। অথচ নার্সিংহোম সেটাই করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy