—ফাইল চিত্র।
বিকেলের ওই সময়টা যেন সবার স্বস্তির সময়। স্বস্তি নিয়ে আসে যে, কর্মীরা তার নাম দিয়েছেন রাজা। আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা কোভিড হাসপাতলের চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের বন্ধু এখন সে। প্রায় রোজ বিকেলেই নিয়ম করে ওই হাসপাতালে আসে। কর্মীরাও তার জন্য বিস্কুট নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।
পিপিই কিট, এন ৯৫ মাস্ক, গ্লাভস পরে যে দিনগুলো কাটছিল, সেই দিনগুলোতে খানিকটা অক্সিজেনের জোগান দিল এই বন্য ময়ূর। হাসপাতালের সুপার অমিত বরাট জানান, হাসপাতালের পিছনে একটি ছোট জঙ্গল রয়েছে। সেখান থেকেই ময়ূরটি আসে। হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ায় সে। চিকিৎসক নার্স, সাফাই কর্মী সকলের হাত থেকেই নির্ভয়ে বিস্কুটের টুকরো খায়। পেট ভরে গেলে চলে যায়। কাজের চাপের মাঝে কিছুক্ষণের জন্য রাজা এলে ক্লান্তি ভুলে যায় সকলেই।
হাসপাতালে আইশোলেশনে থাকতে থাকতে রোগীদের অনেকেও বিকেলে ময়ূরটিকে দেখেন। হাসেন। সাময়িক স্বস্তি পান। ভুলে যান পরিচিত ওষুধের গন্ধ। সিস্টার ইন চার্জ রুবিনা সুলতানা বলেন, ‘‘পরিবার ছেড়ে কাজের ফাঁকে আমাদের মন ভাল করে দিয়ে যায় রাজা। রাজা এলে অনেকটাই ভুলে যাই হাসপাতালের ক্লান্তি।’’ এক কর্মী জানান, যখন হাতের তালু থেকে বিস্কুট খায়, সেই খুশি বলে বোঝানো যাবে না। দশ থেকে পনেরো মিনিট হয়তো থাকে। তবু বিকেল হলেই সবাই ওর অপেক্ষা করেন।
চিকিৎসক পার্থপ্রতিম দাস বলেন, ‘‘পরিবার থেকে দূরে। পিপিই কিট পরে ডিউটি করতে হয় সারাদিন। কাজের চাপের সঙ্গে মানসিক চাপ তো থাকেই। ডিউটি করার ফাঁকে রাজাকে অনেকবার দেখেছি। বড় ভাল লাগে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy