ফাইল চিত্র।
কলকাতা ফেরার আগে শিলিগুড়িতে নির্ধারিত দ্বিতীয় দফায় বৈঠক না করেই ফিরলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে রাতে ফিরে শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি এলাকার একটি হোটেলে ছিলেন অভিষেক। ঠিক ছিল, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি হোটেল থেকে সোজা উত্তরকন্যার কন্যাশ্রীতে যাবেন। সেখানে শিলিগুড়ির নেতাদের সঙ্গে বা বাছাই কিছু লোকজনের সঙ্গে আর একদফায় ‘ইন্ডোর মিটিং’ করবেন। বেলা ১টা নাগাদ সোজা সেখান থেকে বিমানবন্দর হয়ে কলকাতা ফিরবেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শিলিগুড়ি ফেরা অবধি মোটামুটি সূচি ঠিকই ছিল। কিন্তু রাতে একাধিক ফোনে কলকাতায় কথা বলেন অভিষেক। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সকাল সকাল অভিষেক কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। গভীর রাতেই স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়। সেই মতো দুপুরের পরিবর্তে সকাল ১১টা নাগাদ বিমান ধরে তৃণমূল সাংসদ কলকাতা ফেরার আগে স্থানীয় নেতৃত্বকে বার্তা দেন, আগামীতে ফের এসে বৈঠক করবেন। এ দিনই নন্দীগ্রামে সভা করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গী, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীরা। তার আগে থেকেই তৎপরতা শুরু হয় তৃণমূলে। এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেছেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিলিগুড়িতে একটা বৈঠকের কথা ছিল। এ দিন তা হয়নি। পরে আবার তিনি এলে নিশ্চয়ই করবেন।’’
আপাতত শিলিগুড়িতে অভিষেকের প্রথম দিনের বৈঠকে ডাক না পাওয়া নেতানেত্রীদের মানভঞ্জন করা নিয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় জেলা নেতৃত্ব ও প্রশান্ত কিশোর বা পিকে-র টিম। অন্য জেলাগুলিতেও সেই কাজ শুরু হয়েছে। গত সোমবার কলকাতা এসেই শিলিগুড়ির নেতাদের নিয়ে বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। পিকের এই সফরে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। দলের পুরনো নেতানেত্রীদের অনেকেই এখন নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ। জেলা কমিটির প্রাক্তন দুই নেতা জানান, গ্রামের দিক থেকে ব্লকের নেতাদের সবাইকে ডাকা হয়। শহরের ক্ষেত্রে অনেকেই বাদ পড়েন। সংগঠন নিয়ে বৈঠকে অন্য রকম কথা শোনার ভয়ে নেতৃত্বের একাংশ ইচ্ছা করেই তা করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এখন পিকের লোকজন আলোচনার কথা বলছেন। আগামী দিনে দলনেত্রী বা অভিষেক কর্মী-বৈঠক করে দলের নিচু তলার কথা শুনবেন বলে এখনও আশাবাদী।
দল সূত্রের খবর, গত বেশ কিছু দিন ধরেই ব্লক স্তর থেকে সাংগঠনিক পরিস্থিতির রিপোর্ট পিকে-র টিম কলকাতায় পাঠিয়ে থাকে। এতে বহু নেতার সম্পর্কে কলকাতায় নানা অভিযোগ যেমন জমা পড়েছে, তেমনই অনেকের সম্পর্কে সঠিক মূল্যায়ন রিপোর্টও গিয়েছে। তাতে সংগঠনের কাজে কাদের ব্যবহার করা হচ্ছে, কাদের কেন হচ্ছে না, সব তথ্য থাকছে। আবার কারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত সোমবারের বৈঠকে নির্দেশিত কাজ শুরু করেছেন, সেই তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে।
এ দিনই বাগডোগরা দলীয় দফতরে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভার এলাকার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে বুথে বুথে ১০০টি করে পতাকা লাগানো, ১২ জানুয়ারি বিবেকান্দের জন্মদিন, ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জয়ন্তী পালন এবং সাংগঠিনক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy