যোগদান: বালুরঘাটে তৃণমূলের জনসভায় কর্মী-সমর্থকেরা। ছবি: অমিত মোহান্ত
হিন্দুত্বের রক্ষাকবচ দাবি করে রাজ্যের মানুষকে বিজেপি নেতারা বোকা বানাচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের দাবি, ‘‘তৃণমূল ওই ভুয়ো হিন্দুত্বে বিশ্বাস করে না। হিন্দুধর্ম সব ধর্মকে নিয়ে চলতে শেখায়।’’ তবে ওই সভায় তেমন ভিড় হয়নি বলে তৃণমূলের অনেকেই একান্তে মানছেন।
অভিষেক বলেন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বিজেপি ১০ দিন ধরে দুর্গাপুজো করে দেখাক। তা হলে এ রাজ্যে তারা রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীতে মাথায় ফেট্টি বেঁধে রাস্তায় নামবেন। অভিষেকের দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের জন্য যা করেছেন, তার সিকিভাগ বিজেপি করেনি। বাংলায় রামনবমী, হনুমান জয়ন্তীও মানুষ নিজেদের মতো করে পালন করেন। কিন্তু অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের করে আস্ফালনের সংস্কৃতি এ রাজ্যে নেই।’’
মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে আয়োজিত দলের জনসভায় ভাষণে ওই দাবি করে অভিষেক অভিযোগ করেন, এ বাংলায় প্রথা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বদলে বিজেপি অন্য রাজ্যের সংস্কৃতি এখানে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজোর মতো অন্য রাজ্যে কার্তিক চতুর্দশী, নবরাত্রীর মতো প্রধান উৎসবে মানুষ মাতেন। মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় দুর্গোৎসব সম্প্রসারণে সহায়তা করেন। হিন্দুদের মিলনসভা গঙ্গাসাগর মেলায় সহায়তা করেন। নিবেদিতা ভবন রক্ষায় কাজ করেন। আবার ইমামভাতা, মোয়াজ্জেম ভাতা দেন ওয়াকফের টাকায়। করের টাকায় কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, কৃষক বাজার, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথীর মতো প্রকল্প রূপায়ণ করেছেন।
আরও পড়ুন: সমাধানের পথে ভাঙড়ের সমস্যা
অভিষেক বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘বাম আমলে যেমন ছিল হাত কাটা দিলীপ। এখন বাংলায় এসেছেন জিভ কাটা দিলীপ। আমরা যে দল করি তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আদেশ করেন, পাঁচ মিনিট সময় লাগবে তৃণমূল কর্মীদের, মাঠে একটিও বিজেপির পতাকা পাওয়া যাবে না।’’
মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস সরকারের অভিযোগ, ‘‘বাংলায় জাতিভেদ উস্কে দিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি মমতাই শুরু করেছেন। ভোটের আগে তৃণমূল নেতারা নিজেদের হিন্দুত্ব প্রমাণ করতে আসরে নেমেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy