দেড় শতক ধরে সৌজন্যের প্রথাই মেনে এসেছে জলপাইগুড়ি জেলা। জেলার দেড়শো বছর পূর্তি উৎসবের আয়োজন সভায় সেটাই আরও একবার উঠে এল। এবং বুঝিয়ে দিল, জলপাইগুড়ি বরাবরের মতো আছে জলপাইগুড়িতেই। যা দেখে অনুষ্ঠানে হাজির এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মন্তব্য করলেন, ‘‘সৌজন্যের প্রথা আমাদের রক্তে মিশে আছে।’’ এরই মধ্যে সভায় হাজির জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি প্রস্তাব দিলেন, জেলার জন্মদিবসে একাধিক কপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হোক।
জলপাইগুড়ির তৃণমূল সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মণের ডাকা এই সভায় হাজির ছিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জিতেন দাস থেকে কংগ্রেস বিধায়কের প্রতিনিধি, সকলেই। এখান থেকে সিপিএমের একটি সভায় যাওয়ার কথা ছিল জিতেনবাবুর। তাঁকে নিজের সরকারি গাড়িতে সেই সভায় পৌঁছে দিলেন তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ।
সাংসদ বিজয়বাবু পরে বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা সংস্কৃতি এবং সৌজন্যের জেলা। একাধিক সংস্থার তরফ থেকে নানা উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। আমরা সব উৎসবেই সামিল হব।”
সরকারি নথিতে উল্লেখ রয়েছে, ১৮৬৯ সালের ১ জানয়ারি জলপাইগুড়ি জেলা গঠিত হয়। এ দিনের সভার প্রস্তাব, ৩১ ডিসেম্বর থেকে উৎসব শুরু হোক। বিজয় বর্মণের ডাকা এ দিনের সভায় ছিলেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বিস্তর প্রস্তাবও এসেছে সকলের কাছ থেকে।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) মলয় হালদার উৎসব আয়োজনে প্রশাসনিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। একধিক প্রস্তাব দিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। তার মধ্যে রয়েছে জেলা জুড়ে আলো এবং ছবির প্রদর্শনী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে জমকালো করা, সরকারি নানা প্রকল্প নিয়ে মেলার আয়োজনও করা যেতে পারে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “সাংসদ আমাকে হেলিকপ্টারের কথা বলেছিলেন। সেনা বাহিনীর সঙ্গে এক দফা কথা হয়েছে। একটি নয়, তিন থেকে চারটি হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি হবে।” পাশাপাশি জেলার সব ভাষার লেখা নিয়ে স্মারক পত্রিকা, একাধিক স্থায়ী তোরণের মতো প্রস্তাবও দিয়েছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy