গত এক সপ্তাহ ধরে পাহাড় থেকে সমতলে ঘুরছে আবহাওয়া সংক্রান্ত হোয়াট্সঅ্যাপ মেসেজ। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের নাম করে পাঠানো ওই মেসেজে কখনও বলা হচ্ছে, মেঘ ভেঙে তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হবে পাহাড়। আবার কখনও বলা হচ্ছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং হিমালয়ের কিছু এলাকায় আগ্নেয়গিরি ফেটে বার হবে এবং এর জেরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে দার্জিলিংকে।
সবই না কি জানানো হচ্ছে দার্জিলিঙের জেলাশাসকের দফতর থেকে! ওষুধ, খাবার-সহ আপৎকালীন জিনিসপত্র নিয়ে তৈরি থাকতেও বলা হচ্ছে বাসিন্দাদের। গত এক সপ্তাহ ধরে জেলাশাসকের নাম করে এমনই দু’টি ভুয়ো মেসেজ ঘিরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। তদন্তও শুরু হয়েছে। বাসিন্দাদের তো বটেই, গরমে পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেও এমনটা করা হতে পারে অফিসারদের একাংশের অনুমান।
প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, জুন-জুলাই মাস থেকে পাহাড়ে, তরাই, ডুয়ার্সে আবহাওয়ার জন্য পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। পাহাড়ে বহু এলাকায় ধস নামে। একাধিক সেতু উড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। অনেকক্ষেত্রে বহু প্রাণহানিও হয়েছে। তাই জেলা প্রশাসন বর্ষা শুরু হতেই প্রতি বছর ব্লক ভিত্তিক আলাদা করে বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকল্পনা তৈরি করে নেয়। একে কাজে লাগিয়ে ভুয়ো মেসেজগুলি পাঠানো হয়েছে। আবহাওয়ার মেসেজে বলা হচ্ছে, ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটারের (মিলিমিটার নয়) মতো টানা ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে পাহাড়!
জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমার নাম এবং অফিসের কথা বলে এসব ভুয়ো মেসেজ ছড়িয়ে গুজব ছড়ানো চলছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মধ্যে হোয়াট্সঅ্যাপে বেশি ছড়াচ্ছে। এ সব যে ভুয়ো তা জানিয়ে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জেলার সীমানা এলাকা থেকে এ সব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বাসিন্দাদের এ সবে একেবারেই কান না দিতে বলছি।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, বিভিন্ন হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজগুলো আসার পর তা ছড়াচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে সিকিমের মাঝিটার, গ্যাংটকের একাংশ থেকে মোবাইল নম্বর থেকে মেসেজ এসেছে। সিকিম প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জেলাস্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা পুলিশের সাইবার সেল আলাদা করে কোন কোন নম্বর থেকে মেসেজ ছাড়া চলছে সে-ব্যাপারে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
দার্জিলিং জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চর্তুবেদী বলেন, ‘‘ আমরা বিষয়টি দেখছি। এ ধরনের কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy