বিতর্ক: ডিওয়াইএফের ব্যানার। নিজস্ব চিত্র
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের রক্তদান শিবিরের ব্যানারে বাণিজ্যিক সংস্থার নাম। সামনের ১৩ অগস্ট সংগঠনের শিলিগুড়ির ৩ নম্বর লোকাল কমিটি একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে। শিবিরের দিন ক্ষণ জানাতে পেশাদারি কেতায় তৈরি হয়েছে ঝকঝকে ফ্লেক্স। ফ্লেক্সের নীচে সৌজন্য স্বীকার করে জ্বলজ্বল করছে চাউমিন প্রস্তুতকারী একটি সংস্থার নাম। এ নিয়ে দলের অন্দরেও চর্চাও শুরু হয়েছে।
এর আগে দলের মুখপত্র গণশক্তিতে বহুজাতিক সংস্থার বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে। তখন রাজ্যে ক্ষমতাসীন ছিল বামফ্রন্টই। তখনও তা নিয়ে চর্চা হয়েছিল।
শিলিগুড়িতে ডিওয়াইএফের এক নেতার দাবি, এই সিদ্ধান্ত ‘পুঁজিবাদকে’ সমর্থন করবে। অন্য দিকে দলের সক্রিয় কর্মীদের অধিকাংশের দাবি, বর্তমানে প্রচারসর্বস্ব যুগের গতির সঙ্গে তাল না মিলিয়ে চললে পিছিয়ে পড়তে হবে। এক নেতার প্রশ্ন, ‘‘বাণিজ্যিক সংস্থার সাহায্য ছাড়া বড় কর্মসূচি করা ডান-বাম কোন দলের পক্ষেই সম্ভব নয়। সকলের জানা এই সহজ সত্যটুকু স্বীকার করলে ক্ষতি কী?’’
যদিও পাড়ার মোড় হোক বা দিল্লির যন্তরমন্তর সিপিএমের যে কোনও কর্মসূচিতেই বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে স্লোগান-দেওয়াল লিখন থাকে। সিপিএমের যুব সংগঠনের তিন নম্বর লোকাল কমিটি প্রতি বছরই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। গত বছর ১০৩ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হয়েছিল বলে কমিটির দাবি। এ বছর লক্ষ্য দ্বিগুণ পরিমাণ। সে কারণে জোর দেওয়া হয়েছে প্রচারেও। সব মিলিয়ে বাজেট প্রায় ৩০ হাজার টাকা। বাজেট সংগ্রহ করতেই চাউমিন প্রস্তুতকারী একটি বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে লোকাল কমিটি। সংস্থার তরফে ১০টি ফ্লেক্স তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাতেই রাজি হন স্থানীয় নেতারা। বিধান রোডের আশপাশে সহ শহরের একাংশে টাঙানো হয়েছে। ৩ নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক অংশুমান দত্ত বলেন, ‘‘বাকি খরচ নিজেরাই চাঁদা দিয়ে জোগাড় করা হয়েছে। রক্তদানের মতো মহৎ উদ্দেশ্যকে সার্থক করতেই এই পদক্ষেপ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy