Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Darjeeling

ভয় পাবেন না, বোঝানো হচ্ছে ‘সমাজ’কেও

দার্জিলি, কালিম্পঙের পাহাড়ি এলাকা থেকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে করোনাকে ঘিরে এমন ধারণা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের বাধায় দুই পাহাড়ি জেলায় পর্যটকদের হোটেল ছেড়ে চলা আসার ঘটনাও সামনে এসেছে।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১০
Share: Save:

চলতি মাসের ঘটনা। পর্যটকদের জন্য পাহাড় খোলার পর একটি পরিবার কালিম্পঙের একটি প্রত্যন্ত এলাকার হোমস্টেতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছে পর্যটক দল হোমস্টের পিছনের অংশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পাশের গ্রামে পৌঁছন। দেশি মুরগি দেখে তা দামদর করার জন্য এগোতেই বাড়ির সকলে ঘর ছেড়ে একছুটে পালিয়ে যান। আচমকা এমন ঘটনায় ঘাবড়ে গিয়ে পর্যটকেরা ফিরে এসে হোমস্টেতে সব জানান। পরে হোমস্টে মালিক জানান, বাইরের লোকজন কাছে এলেই করোনা হবে এই আশঙ্কায় সবাই পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে গ্রামের অন্য বাড়ি থেকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তাঁদের ফেরত আনা হয়েছে।

দার্জিলি, কালিম্পঙের পাহাড়ি এলাকা থেকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে করোনাকে ঘিরে এমন ধারণা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের বাধায় দুই পাহাড়ি জেলায় পর্যটকদের হোটেল ছেড়ে চলা আসার ঘটনাও সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সচেতন করতে এবং পুজোর মুখে পাহাড় ও ডুয়ার্সে গ্রামীণ পর্যটন চালু করতে স্থানীয় ‘সমাজ’ বা গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতার প্রচার শুরু করল কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক এবং বণিক সভা সিআইআই। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কর্মশালা ছাড়াও প্রতিটি গ্রামের ব্যবহারের জন্য স্যানিটাইজ়িং স্প্রে মেশিন, স্যানিটাইজ়ার, থার্মাল গান,

অক্সিমিটার-সহ নানা সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। আপাতত ৪০টি গ্রামকে বাছা হয়েছে। এ মাসের শেষে দু’দিনের জন্য পাহাড়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের আঞ্চলিক অধিকর্তা সাগ্নিক চৌধুরী। বণিক সভা সিআইআই-র উত্তরবঙ্গের পর্যটন বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু, উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান সঞ্জিৎ সাহা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামে গিয়ে হোমস্টে মালিক এবং গ্রামের প্রবীণ, নবীনদের বৈঠক করে এসেছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসের পরেরদিন সিটং এবং তাকদাতে কর্মসূচি হচ্ছে। ২৯ সেপ্টেম্বর মালবাজারের অনুষ্ঠানে আসবেন ডুয়ার্স এবং কালিম্পঙের গ্রামের বাসিন্দারা।

রাজ বসু বলেন, ‘‘পাহাড়ি বা প্রত্যন্ত গ্রামে ‘সমাজ’ এড়িয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। তাই হোমস্টে মালিকপক্ষের সঙ্গে ওই সমাজের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আমরা বসছি।’’ তিনি জানান, সমস্ত স্যানিটাইজিং কিট ‘সমাজে’র কর্তাদের কাছেই থাকবে। এলাকার হোমস্টে, বাড়ি, দোকান, স্কুল, কোয়রান্টিন সেন্টারে তা ব্যবহার হবে। সরকারি নিয়ম, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোমস্টে, সমাজ এবং পর্যটক-সকলকে বুঝিয়ে কর্মশালা করে কাজটা করতে হচ্ছে। সঞ্জিৎ সাহা বলেন, ‘‘পর্যটন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে গেলে স্থানীয়দের সমর্থন প্রয়োজন। আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সাহায্যে সেটাই করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tourism Darjeeling COVID19 Corona Tourist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE