মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝাঁপানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিল আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি৷ সেই লক্ষ্যেই খুব শীঘ্রই জেলার প্রতিটি বিধানসভা ধরে নেতাদের নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রশিক্ষণ। কোন সভায় কিংবা মানুষের বাড়িতে গিয়ে কী বলতে হবে মূলত সেই বিষয়েই নেতাদের প্রশিক্ষণ দেবেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব।
এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে খুব বেশি দূরেও নয় পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন। আর এ বারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আসনগুলির মধ্যে অন্যতম আলিপুরদুয়ারকে বিজেপি নেতারা পাখির চোখ হিসাবে দেখছেন। এই অবস্থায় নির্বাচনের প্রচারে এই কেন্দ্রে প্রচারের কোন খামতি না রাখতে এখন থেকেই মরিয়া দলের নেতারা। আর সে জন্যই প্রচার নিয়ে এবার নেতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
বিজেপির মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, “খুব শীঘ্রই বিধানসভা ভিত্তিক এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। যে প্রশিক্ষণে দলের রাজ্য নেতারা থাকবেন। সেখান থেকে প্রশিক্ষিতরা পরবর্তীতে নিজেদের মণ্ডলে মণ্ডলে প্রশিক্ষণ দেবেন। এ ভাবেই পরবর্তীতে বুথ স্তর পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই, এই প্রশিক্ষণের উপর নির্ভর করে জেলা জুড়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার জোরদার ভাবে শুরু হয়ে যাবে।”
আলিপুরদুয়ারকে হামেশাই নিজেদের উত্তরবঙ্গের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করেন বিজেপির জেলা ও রাজ্য নেতারা। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তিন নম্বর স্থান পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর চেয়ে তাঁর ভোটের ব্যবধান খুব বেশি ছিল না। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলার মাদারিহাট আসনটি জয়ী হয় বিজেপি। গত বছর হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি ও বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও জেলা পরিষদের একটি আসনে জয় পায় বিজেপি।
দলের নেতাদের দাবি, জেলার বিভিন্ন জায়গায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীন চা বলয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে তাদের জন সংযোগের কর্মসূচি চলবে৷ আর পরীক্ষা শেষ হলেই শুরু হবে জোর ভোট প্রচার। যদিও তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘সম্প্রতি ময়নাগুড়িতে এসে প্রধানমন্ত্রী বাগান খোলা নিয়ে যে মিথ্যা দাবি করেছেন, তারপর বিজেপিকে চা বলয়ের মানুষ আর বিশ্বাস করছেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy