প্রতীকী ছবি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফর এবং তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের প্রতিবাদে সরব হল বামফ্রন্ট, কংগ্রেস। শনিবার বিকেলে মালদহেও একযোগে কালো পতাকা, প্লাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়েও সরব হন। তাঁদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ‘লোক দেখানো’ আন্দোলন করছেন। ওই বৈঠকে তৃণমূল ও বিজেপির যোগসাজসও সামনে এসেছে বলে অভিযোগ করেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। তবে তাতে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি।
এ দিন বিকেলে রাজ্য সফরে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সফরের সময় জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় বামেরা। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মালদহে বিক্ষোভ দেখান বাম নেতা-কর্মীরা। ইংরেজবাজার শহরের ডাকঘরের সামনে হাতে প্লাকার্ড, কালো পতাকা নিয়ে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। তাতে শামিল হন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাও।
জেলার বাম নেতাদের দাবি, প্রথমে ঠিক হয়েছিল কলকাতায় অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জেলায় জেলায় চলবে অবস্থান বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভে যোগ দেয় কংগ্রেসও। বাম নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ চলছে। বন্ধে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দিয়েছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আন্দোলনের কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার মানুষ তা মেনে নেবেন না।’’ কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের জেলা নেত্রী লক্ষ্মী গুহ বলেন, ‘‘মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে বাম-কংগ্রেসই লড়াই করছে।’’
পাল্টা বাম-কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “ওই দুই দলের অস্তিত্ব এখন সঙ্কটের মুখে। তাই ওঁরা ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। তাতে কোনও লাভ হবে না।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, ‘‘মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। সে কথা বিরোধী দলগুলি বুঝে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy