বাড়িওয়ালা বনাম ভাড়াটিয়ার লড়াইয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে খুব বেশি কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আরও কঠোর ধারা প্রয়োগ করতে পাঁচ হাজার টাকা ঘুস চাওয়ার অভিযোগে ক্লোজড হলেন এক এএসআই।
মালবাজার থানার ওই এএসআইকে গত শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। মালবাজার পুর এলাকার ১০নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কলোনিতে বাড়িওয়ালা বনাম ভাড়াটের দু’পক্ষের দায়ের করা অভিযোগের তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন তিনি।
ভাড়াটে সাগরিকা ঘোষ গত ৩ জুন এবং ৬ জুন মালবাজার থানায় পরপর দু’টি অভিযোগ জমা দেন। প্রথম অভিযোগে তিনি জানান, যে ভাড়াবাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির উল্টোদিকের একটি বাড়ি থেকে তার এবং তার পরিবারকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়। এর পর চুক্তির মেয়াদ পেরোলেও সাগরিকা দেবী বাড়ি ছাড়ছেন না এবং উল্টে বাড়ির মালিককে হুমকি দিচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন বাড়ির মালিক সবিতা সাহা। সাগরিকা দেবীর স্বামী পলাশ ঘোষ এসএসবিতে কর্মরত। তিনি বর্তমানে শ্রীনগরে রয়েছেন। সাগরিকা দেবীর এক মেয়ে ও দুই ছেলে। সকলেই স্কুল পড়ুয়া। মেজ ছেলে প্রমিক ঘোষ গুরুতর অসুস্থ। সাগরিকা দেবীর করা অভিযোগের কোনও প্রমাণ মিলছে না বলে বারবার জানাতে থাকেন ওই এএসআই । লিখিত অভিযোগের নিরিখে খুব বেশি কড়া ধারা প্রয়োগ করাও সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। সাগরিকা দেবীর দাবি যে ওই এএসআই জানান নগদ পাঁচ হাজার টাকা দিলে এই মামলাকে জোরদার করা যাবে। সেক্ষেত্রে চাপে পড়বে বাড়িওয়ালা এবং পড়শিরা। সাগরিকাদেবীর অভিযোগ, ‘‘টাকা কি বাড়িতে নিতে আসবে নাকি থানার পেছনে থাকা মন্দিরের সামনে দেব তাও জানতে চাই। এএসআই টাকার ভাগ তাঁকে উপরমহলেও দিতে হবে বলে জানান।’’
এর পরেই গত শুক্রবার সাগরিকা দেবী মালবাজারের এসডিপিও নিমা নরবু ভুটিয়ার সঙ্গে দেখা করে সব ঘটনা খুলে বলেন। এসডিপিওর চেম্বারে থাকাকালীনও বারবার সাগরিকা দেবীকে ফোন করতে থাকেন এই এএসআই। ঘটনার কথা জেনেই এরপর ওই এএসআইকে ফোন করেন এসডিপিও। পুরো বিষয় সবিস্তারে শুনে অসঙ্গতির প্রমাণ পেয়ে দ্রুত তাকে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। তবে এবিষয়ে কোনই মন্তব্য করতে রাজি হন নি মালবাজারের এসডিপিও নিমা নরবু ভুটিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy