Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

জল্পেশে পকেটমারের দাপট

প্রতি বছরই শ্রাবণ মাসে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে জল্পেশ মন্দিরে৷ গোটা মাস জুড়েই উত্তরবঙ্গ ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও অসম থেকেও বহু মানুষ আসেন জল্পেশে৷ প্রতি রবিবার রাতে ভিড় বাড়ে কয়েক গুণ। ভিড় সামাল দিতে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ সেখানে নিযুক্ত করা হয়৷

পথে: মেলার দিকে। নিজস্ব চিত্র।

পথে: মেলার দিকে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭ ১১:২০
Share: Save:

পকেটমারের অত্যাচারে নাজেহাল শ্রাবণী মেলায় জল্পেশে আসা শিবভক্তরা৷ অভিযোগ, রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত পঞ্চাশটি পকেটমারির ঘটনা ঘটেছে এখানে। কারও টাকার ব্যাগ খোওয়া গিয়েছে, কারও মোবাইল। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন মন্দির কমিটির কর্তারা৷

প্রতি বছরই শ্রাবণ মাসে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে জল্পেশ মন্দিরে৷ গোটা মাস জুড়েই উত্তরবঙ্গ ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও অসম থেকেও বহু মানুষ আসেন জল্পেশে৷ প্রতি রবিবার রাতে ভিড় বাড়ে কয়েক গুণ। ভিড় সামাল দিতে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ সেখানে নিযুক্ত করা হয়৷ পাশাপাশি রয়েছে মন্দিরের নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরা৷ কিন্তু মন্দির কমিটির কর্তাদের অভিযোগ, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এ বছর জল্পেশ মন্দিরে নিরাপত্তা অনেকটাই ঢিলেঢালা৷ এরই সুযোগ নিয়ে শিবভক্তদের পোশাকে অনেক পকেটমার ভিড়ে মিশে যাচ্ছে৷ এবং সহজে দর্শনার্থীদের মানি ব্যাগ ও মোবাইল হাতিয়ে নিচ্ছে৷ এ ব্যাপারে থানাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷

জল্পেশ মন্দিরের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, ‘‘রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন পকেটমারের শিকার হয়েছেন৷ যাদের কয়েকজনের বাড়ি ফেরার টাকা পর্যন্ত ছিল না৷ ফলে মন্দির কমিটিই তাদের গাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে৷’’ গিরীন্দ্রবাবুর অভিযোগ, জল্পেশ মন্দিরে একদিনে এত পকেটমারির ঘটনা আগে কখনও হয়নি৷ মন্দির কমিটির কর্তাদের কারও কারও অভিযোগ, এ বছর শ্রাবণী মেলায় নিরাপত্তা অন্যবারের থেকে ঢিলেঢালা। সেই সুযোগটা নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা৷ তাঁদের অভিযোগ, মন্দিরের ভেতরে ও বাইরে যে সব জায়গায় নিরাপত্তা রক্ষীদের থাকার কথা, তার অনেক জায়গাই ফাঁকা থাকছে৷

যদিও মন্দির কমিটির কর্তাদের এই অভিযোগকে সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ কর্তারা৷ জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘রবিবার দুপুর থেকেই অফিসার সহ প্রায় চারশো পুলিশ কর্মী মন্দিরের ভেতরে ও বাইরে মোতায়েন ছিলেন৷ এছাড়াও মন্দির চত্বরে কয়েকশো সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন৷ খোদ পুলিশ সুপার সমেত জেলার অন্যান্য পুলিশ কর্তারা মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন৷’’ ওই পুলিশ কর্তার দাবি, মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রায় পঞ্চাশটি পকেটমারির ঘটনার কথা বললেও থানায় এ দিন দুপুর পর্যন্ত একটি অভিযোগও জমা পড়েনি৷ তবে মন্দিরের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Thief Snatching Jalpesh জল্পেশ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE