Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রেমের ফাঁদেই কব্জায় অনির্বাণ

গত ২৯ জুন জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকার ভাড়া বাড়িতে খুন হন এলআইসির ডেভলপমেন্ট অফিসার উত্তম মোহান্ত৷

ধৃত: অনির্বাণ রায়। —নিজস্ব চিত্র।

ধৃত: অনির্বাণ রায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৫০
Share: Save:

মেয়েদের প্রতি দুর্বল ছিল সে৷ তদন্তে নেমে সেটা ভালই বুঝতে পেরেছিল পুলিশ৷ আর তার সেই দুর্বলতাকে হাতিয়ার করেই জলপাইগুড়িতে এলআইসির ডেভলপমেন্ট অফিসার উত্তম মোহান্ত খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তার স্ত্রীর প্রেমিক অনির্বাণ রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওয়াড়ার গোলাবাড়ি বাস স্ট্যান্ডের সামনে থেকে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে৷

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ধৃত অনির্বাণকে হাওড়া আদালতে তোলা হবে৷ তারপর তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে জলপাইগুড়িতে নিয়ে আসা হবে৷ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলার পর তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জিও জানাবে পুলিশ৷ পুলিশের এক কর্তা বলেন, উত্তমবাবুকে কী বিষ খাওয়ানো হয়েছে, কিংবা কীভাবে তাকে তা খাওয়ানো হয়েছে সেটা জানতে অনির্বাণকে হেফাজতে নেওয়াটা জরুরি৷

গত ২৯ জুন জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকার ভাড়া বাড়িতে খুন হন এলআইসির ডেভলপমেন্ট অফিসার উত্তম মোহান্ত৷ উত্তমবাবুর দাদারা জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন, বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের জন্য উত্তমবাবুর স্ত্রী লিপিকা ও তার প্রেমিক অনির্বাণ উত্তমবাবুকে খুন করেছে৷ ঘটনার পরদিনই গ্রেফতার করা হয় লিপিকাকে৷ যদিও জলপাইগুড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অনির্বাণ৷ তবে শুধু লিপিকাই নয়, এই ঘটনায় পরবর্তীতে এক চিকিৎসকের পাশাপাশি উত্তমবাবুর মেয়ে শ্বেতাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ধৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উত্তমবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ ছিল৷ আর পরবর্তীতে উত্তমবাবুর দাদারা তাদের ভাইঝির নামেও অভিযোগ করলে শ্বেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তবে দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্ট শ্বেতার জামিন মঞ্জুর করে৷

পুলিশ সূত্রে খবর তদন্তে তারা জানতে পেরেছিল, মহিলাদের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে অনির্বাণের৷ সেই দুর্বলতাকেই হাতিয়ার করে তারা৷ সম্প্রতি অনির্বাণের একটি ফোন নম্বর পুলিশের হাতে আসে৷ এক মহিলা সোর্সকে দিয়ে তার সেই নম্বরে ফোন করিয়ে প্রেমের অভিনয় করায় পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, এরই মধ্যে কলকাতায় ডাক্তার দেখাবে বলে অনির্বাণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই মহিলা৷ অনির্বাণ তাকে এ দিন সন্ধ্যায় হাওড়ার গোলাবাড়ি বাস স্ট্যান্ডে যেতে বলে৷ ওই মহিলার সঙ্গে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার ও এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সুব্রতা সাহাও যান৷ গোলাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হতেই অনির্বাণকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷

পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, শনিবার হাওড়া আদালতে তুলে অনির্বাণকে ট্রানজিট রিমান্ডে জলপাইগুড়িতে নিয়ে আসা হবে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE