উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিনয় তামাং। তাই আপাতত জিটিএ-র দায়িত্ব দেওয়া হল অনীত থাপাকে। অনীত জিটিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকেই ভারপ্রাপ্ত চেযারম্যান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ওই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারই লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র পাঠান বিনয়। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর অনীত বলেন, ‘‘সঠিকভাবে বাড়তি দায়িত্ব পালন করব। পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য কী ভাবে আরও ভাল কাজ করা যায়, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও দফতরের আমলাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা তৈরি করেই কাজ করব।’’ দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ মতোই কাজ হবে।’’
অনীতকে চেয়ারম্যান করায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিমলপন্থী মোর্চার নেতারা। দলের কার্যকারি সভাপতি লোপসাং লামা বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করতেই রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করে অনীতকে ওই পদে বসিয়েছে। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া জিটিএ-র নির্বাচন না করিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের অনৈতিকভাবে পদে রেখে দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। জিটিএতে প্রশাসনিক কোনও কর্তাকে বসানো উচিত ছিল।’’ রাজ্যের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যও।
বিনয় তামাং বলেন, ‘‘আইন মেনেই ইস্তফা দিয়েছি। আর আইন মেনেই অনীত চেয়ারম্যান হয়েছেন। উনি যোগ্য ব্যক্তি। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন জিটিএ-র কাজকর্ম পরিচালনার অভিজ্ঞতাও আছে। এর মধ্যে অন্য অর্থ খোঁজা বোকামি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy