Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Anit Thapa

রোশনের পাল্টা সভা অনীতের

জনসভার একটি নামও দিয়েছেন বিনয়পন্থীরা, ‘হামরো পাহাড়-রামরো পাহাড়’ (আমার পাহাড়-সুন্দর পাহাড়)।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১০
Share: Save:

রোশন গিরি সভা করলেন রবিবার। তেরাত্তির পেরনোর আগেই আজ, মঙ্গলবার একই জায়গায়, নিজের খাসতালুক কার্শিয়াংয়ের স্টেশন এলাকায় জনসভার কথা ঘোষণা করলেন অনীত থাপা। সোমবার সেই সভার প্রস্তুতি হিসেবে কার্শিয়াং পতাকা-ফেস্টুনে ছেয়ে ফেললেন অনীতের অনুগামীরা। বিনয় তামাংপন্থী মোর্চা সূত্রের খবর, বিমল গুরুংপন্থীদের সচিব রোশনের নেতৃত্বে সভার পাল্টা পথ নামছেন বিনয়পন্থীদের সচিব অনীত। এবং বিমলের মতো এই জনসভায় থাকছেন না বিনয়ও। ২১ অক্টোবর গুরুং ফেরার পর থেকে দুই গোষ্ঠীর পাহাড়ে শক্তি প্রদর্শন অব্যাহত ছিল। প্রথমে বৈঠক, মিছিলের পরে এ বার শুরু হল জনসভা, পাল্টা জনসভার লড়াই।

জনসভার একটি নামও দিয়েছেন বিনয়পন্থীরা, ‘হামরো পাহাড়-রামরো পাহাড়’ (আমার পাহাড়-সুন্দর পাহাড়)। অনীত বলেছেন, ‘‘নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, দোষারোপের রাজনীতির বাইরে গিয়ে নতুন দিশা, নতুন চিন্তার দার্জিলিং তৈরি হচ্ছে। সেখানে অশান্তি, উত্তেজনা, বোমা-গুলির জায়গা নেই। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’’ তিনি জানান, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্যকে দোষারোপ করাটা বন্ধ করতে হবে। দোষ তো আমাদের পাহাড়ের নেতাদের। বরাবর চেয়ার দখলের জন্য নেতিবাচক রাজনীতি হয়েছে। এখনও হচ্ছে। জনসভা থেকে আমরা পাহাড়ের মানুষকে ইতিবাচক বার্তা দেব।’’

বার্তা, পাল্টা বার্তার কথা দুই তরফে বলা হলেও আদতে যে শক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শনের খেলা পাহাড়ে শুরু হয়েছে, তা পাহাড়বাসীর একটা বড় অংশের কাছে পরিষ্কার। তাঁদের অনেকের কথায়, এই সময়ে জিটিএ-র ক্ষমতা, লোকবল অনীত বিনয়ের হাতে রয়েছে। উল্টো দিকে গুরুংয়ের জন্য পাহাড়বাসীর একটা বড় অংশের আবেগ রয়েছে। তাকে কাজে লাগিয়েই ঘর থেকে পুরুষ, মহিলাদের বার করে আবার নিজের সংগঠন গড়ার কাজ শুরু করেছেন গুরুং। এ দিনও সন্ধ্যায় রোশন এবং দীপেন মালে গাড়িধুরা বাজারে যান। সেখানে বসে পড়া কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করে মিছিল করেন। নিজেদের দলীয় দফতর খোলার প্রস্তুতি নেন। বহু দিন পর গাড়িধুরা বাজারে গুরুংয়ের নামে স্লোগান দিয়ে মিছিল হয়। রোশন বলেছেন, ‘‘বিনয়, অনীতের বিরুদ্ধে পাহাড়ে ধীরে ধীরে জেগে উঠছে।’’

এই পরিবেশে রোজই পাহাড়ে উত্তাপ বাড়ছে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে রোজই পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও সমস্যা যাতে না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে মরিয়া রাজ্যেও। এ দিন বিনয় তামাং দলীয় সংগঠন নিয়ে সকাল থেকেই ব্যস্ত ছিলেন। পরে লিম্বুবস্তি এলাকায় একটি রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিনয়। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সভায় থাকছি না। অনীতই থাকবে। তবে পাহাড়বাসীর শান্তির জন্য আমরা তিন বছর লড়াই করেছি। হঠাৎ কয়েকটা লোক এসে তা নষ্ট করবে, তা হতে দেওয়া হবে না। রাজ্যকেও নজর দিতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE