অর্পিতা ঘোষ।
বিপ্লব মিত্রের হাত থেকে প্রথমে গঙ্গারামপুর পুরসভা, পরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপরিষদ পুনরুদ্ধার করে নিজের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে নিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ— এমনই মনে করছেন দলের নেতাকর্মীদের একাংশ।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লিপিকা যে এ দিন তৃণমূলে ফিরছেন সে খবর তাঁর ‘রাজনৈতিক অভিভাবক’ বলে পরিচিত বিপ্লবের কাছেও ছিল না বলে খবর। তা জানতেন না জেলা বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মণও।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘বহিরাগতের’ তকমা দেগে গত লোকসভা ভোটে অর্পিতাকে প্রার্থী করা নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন বিপ্লব। ভোটে হেরেও তৃণমূল জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় দলের একাংশ নেতার কটাক্ষ ছিল— ‘‘উনি এ জেলাকে চেনেনই না। দল চালাবেন কী করে?’’ কয়েক মাস আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিপ্লবের পঞ্চায়েত, পুরসভা ও জেলা পরিষদের এক রকম ‘কর্তৃত্ব’ ছিল। তার জেরে গঙ্গারামপুর পুরসভা এবং জেলা পরিষদ থেকে ঘনিষ্ঠ সদস্যদের ভাঙিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি। গঙ্গারামপুর পুরসভা এবং জেলাপরিষদে বিজেপির দখলে নিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক দৌড়ে এগিয় গিয়েছিলেন বিপ্লব।
সেই টালমাটাল অবস্থা থেকে প্রথমে গঙ্গারামপুর পুরসভা ও পরে জেলাপরিষদ পুনর্দখল করে জেলায় তৃণমূলের সংগঠনকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে অর্পিতা অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেলেন বলে এ দিন দলে চর্চা শুরু হয়।
এ দিন বিপ্লব বলেন, ‘‘শাসকের চাপে পড়েই লিপিকা তৃণমূলে যোগ দিলেন। ক্ষমতার পরিবর্তন হলে ফের সকলে বিজেপিতে যোগ দেবেন।’’
জেলা তৃণমূলের অনেকের মতে, ৬ মাস আগে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব যে কৌশল শুরু করেছিলেন, ঠিক ওই পথেই এগিয়ে শেষ হাসি হাসলেন অর্পিতাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy