Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দুর্নীতির নালিশ গ্রেফতার প্রধান

কয়েক মাস আগে তৃণমূল পরিচালিত ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নির্মল বাংলা মিশনে শৌচাগার বানানোর নামে আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু বাড়িতে শৌচাগার না বানিয়েই খাতায়-কলমে শৌচাগার তৈরির কথা বলা হয়৷ এমনকি, শৌচাগার বানানোর দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থাকেও অর্থ দেওয়া হয়৷

ধৃত: আদালতের পথে প্রণবকুমার দাস। নিজস্ব চিত্র

ধৃত: আদালতের পথে প্রণবকুমার দাস। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৭ ০২:৪০
Share: Save:

দূর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ময়নাগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান প্রণবকুমার দাসকে৷

এ দিন বেলা এগারোটা নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তিনি গ্রেফতার হওয়া খানিক্ষণের মধ্যেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়৷ আদালত সূত্রের খবর, প্রধানকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ তিনি যাতে তার বাবার সৎকারে থাকতে পারে তাও তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিককে দেখতে বলেছে আদালত৷

কয়েক মাস আগে তৃণমূল পরিচালিত ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নির্মল বাংলা মিশনে শৌচাগার বানানোর নামে আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু বাড়িতে শৌচাগার না বানিয়েই খাতায়-কলমে শৌচাগার তৈরির কথা বলা হয়৷ এমনকি, শৌচাগার বানানোর দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থাকেও অর্থ দেওয়া হয়৷

অভিযোগ পেয়েই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন ময়নাগুড়ি ব্লক প্রশাসনের কর্তারা৷ প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন বিরোধীরা৷ তার পদত্যাগের দাবি তোলেন তৃণমূলের দলীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরাও৷ কিন্তু পদত্যাগ করতে রাজি হননি প্রণববাবু৷ শেষ পর্যন্ত দলীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের আনা অনাস্থায় ২৭জুন প্রধানের পদ থেকে প্রণববাবু অপসারিত হন৷ এরপর গত ১৪ জুলাই প্রধানের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ৷

পুলিশের এক কর্তা জানান, গ্রেফতার হবেন বুঝতে পেরে গত কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন প্রণববাবু৷ কিন্তু এ দিন বাড়ি ফিরতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ প্রণবাবুকে গ্রেফতারের খানিক্ষণের মধ্যেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়৷ গ্রেফতারের পরই অবশ্য প্রণববাবুর সঙ্গে দলের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷

দলের সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর দাবি, দূর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পদ থেকে অপসারিত হওয়ার সাতদিন আগেই প্রণববাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷

প্রণববাবু নিজেকে দলের জেলা সম্পাদক বলে দাবি করতেন৷ কিন্তু সৌরভবাবু তার সেই দাবি মানতে চাননি৷ গ্রেফতারের পর প্রণববাবু বলেন, ‘‘আমি চুরি করিনি৷ তাই আমার ফাঁসিও হবে না৷ খুব বেশি হলে কিছুদিন জেলে থাকতে হবে৷ আদালতে আমি বিচার পাবই৷’’

এদিন দুপুরে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয় প্রণববাবুকে৷ কর্মবিরতি থাকায় প্রণববাবুর পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি৷ তবে প্রণবাবু নিজে তার বাবার সৎকারে থাকার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানালে বিচারক তদন্তকারী অফিসারকে বিষয়টি দেখতে বলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE