—ফাইল চিত্র।
গম্ভীর রাজনৈতিক বৈঠক চলছে বিজেপির। শীর্ষস্তরের কেন্দ্রীয় নেতা হঠাৎই মঞ্চে ডাকলেন জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীকে। ডাকলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বর্তমানে বিজেপির রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি দীপেন প্রামাণিককেও। সকলেই তটস্থ।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে দু’জনেরই হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বলা হল, একে অন্যের হাতে তুলে দিতে। তারপর দীপেনকে বলা হল, “বাপি গোস্বামীকে আই লাভ ইউ বলুন।” দীপেন সামান্য ইতস্তত করে বলেও দিলেন। সভাঘরে হাততালি আর হাসির রোল। লজ্জার হাসি বাপিরও। এবার বাপির কাছে নির্দেশ এল, “আপনিও দীপেনবাবুকে বলুন।” শীর্ষ নেতার নির্দেশে বাপিও তাঁর প্রাক্তন সভাপতিকে বললেন, ‘‘আই লাভ ইউ।’’ হাততালি ফেটে পড়ল সভায়। দু’জনকে কোলাকুলি করতেও বলা হল। নির্দেশ দেওয়া হল, “বিধানসভা ভোট পর্যন্ত যেন আপনাদের বিচ্ছেদ না হয়।”
দলের জেলা রাজনীতিতে বিপরীত মেরুতে থাকা দুই নেতাকে গত শুক্রবার শিলিগুড়ির ঋষি ভবনে দলের উত্তরবঙ্গ পদাধিকারীর বৈঠকে এ ভাবেই মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এ ভাবে দুই নেতাকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেওয়াটা কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেননের মস্তিকপ্রসূত। তিনিই দুই নেতাকে একসঙ্গে ডেকে নেন। বিজেপি সূত্রের খবর, জেলায় বাপি গোস্বামী এবং দীপেন প্রামাণিকের অনুগামীরা প্রতিনিয়ত অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে নালিশ জানাচ্ছেন। সেই নালিশ শুনে শুনে রাজ্য এবং কেন্দ্রের নেতারা অতিষ্ঠ।
বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, “আমি এবং দীপেনদা দু’জনেই এক পরিবারের সদস্য। তাই আই লাভ ইউ বলতেই পারি। বিজেপি যৌথ নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। একা আমিও দল চালাতে পারি না, দীপেনদাও পারেন না।” দীপেন প্রামাণিকের মন্তব্য, “অরবিন্দ মেননজি আমাদের একসঙ্গে ডেকে ফুল দিয়েছেন। আমরা সকলে একসঙ্গেই চলি। ওঁর কথাতেই আমরা একসঙ্গে ছবিও তুলেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy