মহানন্দার ঘাটে অশোক-গৌতম। নিজস্ব চিত্র
শেষবার দেখা হয়েছিল বাগডোগরায়। বিমানে। অনেকদিন পরে আবার দেখা হল দু’জনের। সোমবার পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ও শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দেখা হল শিলিগুড়ির মহানন্দার বিসর্জন ঘাটের মঞ্চে। পাশে দেখা গেল ডেপুটি মেয়র তথা আরএসপি নেতা রামভজন মাহাতো এবং পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার প্রাক্তন সভাপতি রঞ্জন সরকারকেও। তাঁদের একসঙ্গে গল্প করার ছবিটা নজর কাড়ল গোটা শিলিগুড়ির। দেখা গেল, নাচ থামিয়ে বিসর্জন মিছিল থেকে বেরিয়ে অনেকেই মোবাইল ক্যামেরায় ধরে রাখলেন সেই দৃশ্য। মুহূর্তের মধ্যে তা ‘ভাইরাল’ হয়ে ছড়িয়ে পড়ল সোশাল মিডিয়ায়।
সব মিলিয়ে মিনিট পনেরো একেবারে পাশাপাশি। কাছাকাছি বসে চায়ে চুমুক দিলেন দুজনেই। কত কথাই না হল। কিন্তু, কী কথা হল? তা নিয়ে শহরে কৌতুহলের অন্ত নেই। কারণ, শহরে ভাইরাল জ্বর, ডেঙ্গি সন্দেহে ভর্তি রোগীর সংখ্যা রোজই বাড়ছে। তা নিয়ে দোষারোপও কম চলছে না। মেয়রের ছবি দিয়ে কড়া সমালোচনার ফ্লেক্সও কম নেই শহরে। উপরন্তু, প্রতিদিনই নিয়ম করে যিনি মেয়রকে তুলোধোনা করেন, সেই পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারকেও দেখা গেল মন্ত্রীর পাশে বসা ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতোর সঙ্গে গল্প করছেন। মেয়রের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করলেন।
তা নিয়ে বিস্তর ফিসফাস হলেও ঘটনাকে ‘সৌজন্যমূলক’ বললেন মেয়র-মন্ত্রী-বিরোধী দলনেতা সকলেই। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতিবারই বিসর্জনের সময় ঘাটে আসি। গত বছরও এসেছিলাম। মেয়রকে দেখিনি। এ বছর দেখা হল। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছি। সৌজন্যমূলক কথাই হয়েছে।’’
মেয়র জানিয়েছেন, ধর্ম এবং রাজনীতি এই দুইকে মেলানোর পক্ষে নন তিনি। শিলিগুড়ির পুরনো রীতি, সম্পর্ক এবং ধর্মকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখা। কোনও কারণে সম্প্রতি সেটা ক্ষুন্ন হচ্ছিল। সেটা ফেরাতে চান তিনি। মেয়র বলেন, ‘‘এ দিন মন্ত্রী আসায় খুবই ভাল লেগেছে। তাঁকে আগেই বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। এ দিন আবার জানিয়েছি। তাঁর দফতরের কাজকর্ম ইত্যাদি নিয়ে কথা হচ্ছিল।’’
এ দিন বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে পর্যটন মন্ত্রী ঘাটে যান। পুরসভার মঞ্চে মেয়রকে দেখে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান বিরোধী দলনেতাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy