Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

নথি লোপাটের চেষ্টা গৌড়বঙ্গে

সম্প্রতি, একাধিক অভিযোগে সরগরম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ফাইল লোপাটের চেষ্টা নজিরবিহীন বলে দাবি শিক্ষা মহলের। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্নীতির একাধিক তদন্তে একাধিক বার দেখা গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি উধাও। ফলে সমস্যায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ।

সিল করা ফাইল দেখাচ্ছেন উপাচার্য স্বাগত সেন। নিজস্ব চিত্র

সিল করা ফাইল দেখাচ্ছেন উপাচার্য স্বাগত সেন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
মালদহ শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৬:৫২
Share: Save:

ছাত্রকে দিয়ে ফাইল লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত হুলুস্থুল ঘটে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক অধ্যাপক গুরুত্বপূর্ণ নথি লোপাটের চেষ্টা করেন। ওই বিভাগের একটি আলমারি এবং একটি ফাইল সিল করলেন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দুপুরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। কমিটি গঠন করে তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য স্বাগত সেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ওই অধ্যাপক।

সম্প্রতি, একাধিক অভিযোগে সরগরম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ফাইল লোপাটের চেষ্টা নজিরবিহীন বলে দাবি শিক্ষা মহলের। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্নীতির একাধিক তদন্তে একাধিক বার দেখা গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি উধাও। ফলে সমস্যায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। এ বার নথি লোপাটের চেষ্টায় খোদ অধ্যাপকের নাম উঠে আসায় হতবাক কর্তৃপক্ষের একাংশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ রসায়ন বিভাগ থেকে এক ছাত্রকে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখে আটকান নিরাপত্তা রক্ষীরা। ওই ছাত্রের ব্যাগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায় কিছু ফাইল রয়েছে। তার পরেই রক্ষীরা বিষয়টি জানান কর্তৃপক্ষকে। হইচই পড়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।

রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপাচার্য ও অন্য আধিকারিকেরা। পুলিশকেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে পাঠান স্বাগত। তিনি বলেন, “ওই ছাত্র আমাদের জানান, তিনি রসায়ন বিভাগে পড়েন। বিভাগেরই এক অধ্যাপকের নির্দেশে ফাইল নিয়ে যাচ্ছেন। এর পরেই রসায়ন বিভাগের একটি আলমারি এবং একটি ফাইল আমরা বাজেয়াপ্ত করেছি।” রাতে কেন ফাইল সরানো হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই তড়িঘড়ি একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান স্বাগত। তিনি বলেন, “নথি খতিয়ে দেখা হবে। রাতের অন্ধকারে ফাইল সরানোর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অতীতেও দেখা গিয়েছে বহু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নথি অমিল। তাই পুরো বিষয়টি পুলিশকেও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, রসায়ন বিভাগের প্রধান সৌগত পাল রুসা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। সেই রুসার টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠলে সেই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সৌগতকে ১৩ মার্চ নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি সময় চেয়েছিলেন। এরই মধ্যে ফাইল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাইরে সরানোর ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। সৌগত বলেন, “সিলেবাস সংক্রান্ত বিষয়ের ফাইল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কর্তৃপক্ষের একাংশের তরফে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Gourbanga University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE