Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রান্না ঠিক চলছে তো? আচমকা হানা

জেলার প্রায় হাজার দু’য়েক স্কুলে আচমকা গিয়ে মিড-ডে মিলের অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর। স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে রান্না হচ্ছে কি না, খাবারের মানও বা কেমন—দেখা হবে সবই। অনিয়ম দেখলে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিড-ডে মিলে নজরদারি।

মিড-ডে মিলে নজরদারি।

সৌমিত্র কুণ্ডু
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৮:৪০
Share: Save:

কোথায় কী ভাবে মিড-ডে মিলের খাওয়া-দাওয়া চলছে তা দেখতে এক যোগে সমস্ত স্কুলে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের দফতরেরর কর্মী-আধিকারিক, বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনের কর্মী, ‘লাইন ডিপার্টমেন্ট’ গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে অভিযানে নামার।

জেলার প্রায় হাজার দু’য়েক স্কুলে আচমকা গিয়ে মিড-ডে মিলের অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর। স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে রান্না হচ্ছে কি না, খাবারের মানও বা কেমন—দেখা হবে সবই। অনিয়ম দেখলে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, ‘‘মিড-ডে মিল কী ভাবে চলছে অনেক ক্ষেত্রেই তা নজরদারি করা হয় না। সেই অভাব পূরণ করতেই আচমকা সমস্ত স্কুলে নজরদারির পরিকল্পনা। জেলা প্রশাসন, পূর্ত, কৃষি, বিদ্যুৎ, শিক্ষার মতো বিভিন্ন ‘লাইন ডিপার্টমেন্ট’-এর কর্মী-আধিকারিক, ব্লক প্রশাসনের কর্মীদের এক করে অভিযানে নামা হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে রান্না হচ্ছে না দেখলেই দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে শোকজ করা হবে। সাসপেন্ড বা বেতন বন্ধ করাও হতে পারে।’’

মিড-ডে মিল নিয়ে অনেক স্কুলই সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। প্রয়োজন নজরদারিরও। অভিযোগ প্রশাসন বা স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে নজরদারির অভাবে অনেক জায়গায় মাঝে মধ্যে খাবার থেকে বঞ্চিত হয় পড়ুয়ারা। আবার অনেক ক্ষেত্রে খাবারের মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। একশো শতাংশ স্কুলেই যাতে নজরদারি চলে সে জন্যই নেওয়া হয়েছে এই পরিকল্পনা। সম্প্রতি বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টগুলোকে নিয়ে বৈঠকও করেন জেলাশাসক।

স্কুল পরিদর্শকের দফতর সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরে ১১৬৪ টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। জুনিয়র হাই এবং হাই স্কুল রয়েছে ৩৪৯টি। এ ছাড়াও শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র, শিশু শ্রম বন্ধ করতে জাতীয় প্রকল্পে অন্তত ৩৫ টি স্কুল রয়েছে জেলায়। সেগুলোতে মিড ডে মিল প্রকল্প রয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি দেখতে অভিযান হবে। বর্তমানে করণদিঘির আলতাপুর হাই স্কুলে এক বছর ধরে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মিড-ডে মিলে স্কুলগুলোতে পুষ্টিগত ‘মেনু’ কী করা হবে জেলাপ্রশাসন থেকে তার তালিকা দেওয়া হয়েছিল আগেই। অভিযোগ, তা মানা হয় না। স্কুলগুলোকে নিয়ে বৈঠক করে তাই কোন দিন কী মেনু হবে, সমস্ত স্কুলে সেই মতো নিয়ম চালুর কথাও ভাবা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুষ্টিগত ভাবে মিড ডে মিল থেকে ছাত্রছাত্রীরা যাতে উপকৃত হয় সে জন্য জেলা প্রশাসন থেকে যে মেনুর তালিকা তৈরি হয় তার মধ্যে রয়েছে, জিরা রাইস পালং ডাল, ভুট্টা পোলাও, ভেজিটেবল কড়াই, ভেজিটেবল পোলাও, সোয়াগোবি মশলা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেনু সব মেনে ঠিক করে হয় না বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mid day meal Surveillance Authority
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE