Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রণামীর লক্ষাধিক কয়েনে বিপাকে

বালুরঘাট শহরের কুঠিকাছারি এলাকায় এই বুড়াকালী মন্দির ভক্তদের কাছে ‘জাগ্রত’ বলে পরিচিত। ওই প্রাচীন কালী প্রতিমা শহরবাসীর আদরের ‘বুড়ামা’। কালীপুজোর দিনের পাশাপাশি রোজ দু’বেলা নিয়ম করে বুড়াকালী বাড়িতে পুজো হয়।

অনুপরতন মোহান্ত
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৪৭
Share: Save:

খুচরো এক ও দু’টাকা মিলিয়ে প্রণামীর বাক্সে জমেছে প্রায় ৮০ হাজার টাকার কয়েন। তাই নিয়েই বিপাকে বালুরঘাটের বুড়াকালী মন্দির পুজোকমিটি। সাধারণ ব্যবসায়ী তো বটেই ব্যাঙ্কও এক সঙ্গে এত পরিমাণ খুচরো কয়েন নিতে অস্বীকার করায় দিশেহারা কর্তৃপক্ষ। এ দিকে গতবারের অন্তত ৫০ হাজার টাকার কয়েন জমে রয়েছে ওই কমিটির হাতে। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার কয়েন কী ভাবে নোটে পরিণত হবে তা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে কমিটি কর্তৃপক্ষের।

বালুরঘাট শহরের কুঠিকাছারি এলাকায় এই বুড়াকালী মন্দির ভক্তদের কাছে ‘জাগ্রত’ বলে পরিচিত। ওই প্রাচীন কালী প্রতিমা শহরবাসীর আদরের ‘বুড়ামা’। কালীপুজোর দিনের পাশাপাশি রোজ দু’বেলা নিয়ম করে বুড়াকালী বাড়িতে পুজো হয়। প্রণামীর বাক্সে সারাবছর ধরে সংগ্রহ হওয়া অর্থেই পুজোর খরচের বড় অংশের জোগান হয়। কিন্তু তার বেশির ভাগটাই খুচরো কয়েন। রবিবার পুজোর রাতে প্রণামী বাবদ অন্তত আশি হাজার টাকার খুচরো ১, ২, এবং ৫ টাকার কয়েন মিলেছে। যা নিয়ে কর্মকর্তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কেন না এই মুহূর্তে বাজারে খুচরো এক টাকার কয়েন অলিখিত ভাবে অচল। কেউ খুচরো কয়েন নিতে চান না বলে অভিযোগ।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, নোটবন্দির পর থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কয়েন বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় ওই সমস্যা চলছে। অথচ একটা সময় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছে অমিল ছিল খুচরো পয়সা। বাটা দিয়ে খুচরো কয়েন নিতে হত ব্যবসায়ীদের। কিন্তু নোটবন্দির পরে বালুরঘাট ও জেলার অন্য এলাকার ব্যাঙ্কগুলিতে প্রচুর পরিমাণে খুচরো কয়েন পাঠানো হয়। এর পর থেকেই ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছে প্রচুর কয়েন জমতে থাকে। ফলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যাঙ্কও খুচরো কয়েন নিতে অনীহা প্রকাশ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুড়াকালী পুজো কমিটির সম্পাদক বিকাশ ভৌমিক জানান, কালীপুজোর দিন ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রণামীতে দেওয়া খুচরো ১, ২, ৫ টাকার কয়েন মিলিয়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকার পাশাপাশি গত বছরের অন্তত ৫০ হাজার টাকার কয়েন রয়ে গিয়েছে। ওই বিশাল পরিমাণ খুচরো ব্যাঙ্কও নিতে চাইছে না। অন্যরাও নেবেন না বলে জানান। ফলে এখন পুজো খরচের টাকা পরিশোধ করাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে কমিটির পক্ষে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coin Kali Puja 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE