রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে মৈত্রী ম্যাচে ব্যাট করছে বাংলাদেশ দল।
বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে ‘সিনিয়র’ পরাজিত হলেও জুনিয়র ক্রিকেটে বাংলার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। শনিবার কোচবিহার রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে বাংলা (অনূর্ধ্ব ১৬) দলকে সফরের প্রথম ও একমাত্র একদিনের সীমিত ওভারের ম্যাচে ৫০ রানে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় (অনূর্ধ্ব ১৭) দল।
এক সপ্তাহের সফরের প্রথম ম্যাচে এ দিন ওই জয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত সফরকারী দল। বাংলাদেশ জাতীয় দলের চিফ কোচ কাম ম্যানেজার মহম্মদ আবদুল করিম বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বকাপ দলের সাকিব, সৌম্যদের মত একাধিক তারকা সিএবি-র সঙ্গে আয়োজিত খেলার মাধ্যমে উঠে এসেছেন। এ দিনের জয় ভবিষ্যতের জন্য তাই খানিকটা বাড়তি আশার আলো তো বটেই। যদিও বিশ্বকাপে আমরা গত বারের চ্যাম্পিয়ান দলের কাছে হেরেছি। ওই মঞ্চের সঙ্গে এই পর্যায়ের ক্রিকেটের তুলনাও হয় না। তবু বলব এই জয় খানিকটা সান্ত্বনার কাজ করবে।”
কোচবিহার রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে এ দিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ জুনিয়র দলের অধিনায়ক আসিফ হোসেন ধ্রুব। দিনের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইশান কোরেলের বলে উইকেট রক্ষক সৌরভ পালের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরে যান সফরকারী দলের ওপেনার মহম্মদ আসাদুল্লা আল গালিব। অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুবকেও শূন্য রানে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ফিরিয়ে দেন বাংলার ঐশিক পটেল। স্লিপে শুভম সাহা দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। একসময় বাংলাদেশ দলের রান দাঁড়ায় ৩ ওভারে ৩ উইকেট খুইয়ে মাত্র ৩। ওই অবস্থা থেকে দলের রান ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যায় রাব্বি হাসান (৩০), কাজি অনীক ইসলাম (২৪), আরিয়ান ইব্রাহিম (২২) মহম্মদ জালালুদ্দিন রুমি (১৮) ও সহ অধিনায়ক মহম্মদ রাকিবরা (১৫)। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৫ ওভারের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ৩১ ওভার ৩ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান সংগ্রহ করে। বাংলা দলের হয়ে ঐশিক পটেল, দেবতনু বৈদ্য, কৌস্তভ সিংহ, বাংলার অধিনায়ক ইরফান আনসারি ২টি করে ও ইশান কোরেল, রাঘব তিবরিয়াল ১টি করে উইকেট পান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলা দল ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ঐশিক পটেল (২৪) ও সুদীপ ঘরামি (১০) ছাড়া কোন ব্যাটসম্যান দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। ৫৩ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলা দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা শেষ পর্যন্ত ২৫ ওভার ৪ বল খেলে মাত্র ৭৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে মহম্মদ শরিফ ৩টি, কাজি অনীক ইসলাম, আফিফ হোসেন, ইশাক আলি ২টি করে উইকেট পান। ১টি উইকেট নেন মুসফিকার ইসলাম সজল। প্রতিপক্ষকে একটিও অতিরিক্ত রানের সুযোগও দেয়নি তাঁরা। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান বাংলাদেশের রাব্বি হাসান। আগামী ২৩-২৫ মার্চ স্টেডিয়ামে তিন দিনের মৈত্রী ম্যাচে ফের পরস্পরের মুখোমুখি হবে দুই বাংলার জুনিয়র ক্রিকেটাররা।
সিএবি-র পর্যবেক্ষক অচিন্ত্য ঘোষ বলেন, “সামগ্রিক ভাবে ভাল খেলেই বাংলাদেশ দল জিতেছে। তবে টসে জিতে আমরা প্রথম ব্যাটিং করার সুযোগ পেলে হয়ত এমন ফল হত না। ঘাস না থাকায় পরের দিকে পিচ ভাঙতে শুরু করায় সমস্যা হয়েছে। এই পিচে পরের তিন দিনের ম্যাচ খেলা নিয়ে উদ্বেগ থাকছে।” বাংলাদেশ দলের চিফ কোচ অবশ্য পিচ নিয়ে তেমন অভিযোগের রাস্তায় হাঁটেননি। তাঁর কথায়, “সব ধরনের উইকেটে খেলতে হবে। এ দিন শুরুতে পিচ বুঝতে কিছুটা সময় লাগলেও ছেলেরা সামলে নেয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy