ছবি: পিটিআই।
আইসিএসই ও আইএসসি পরীক্ষায় গৌড়বঙ্গের তিন জেলার স্কুলগুলি ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রাখল। শুক্রবার বিকেলে কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে ফল জানা যায়। করোনা আবহে স্কুল বন্ধ থাকায় সফল ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরেই আনন্দে মাতেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ ফোন মারফত সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মালদহ জেলার হোলিচাইল্ড ইংলিশ অ্যাকাডেমি স্কুলের ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রী আইসিএসই পরীক্ষা দিয়েছিল। স্কুলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে বর্ণিনী ঘোষ। ৯৮.৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে জেলায় সম্ভবত সে প্রথম হয়েছে। আইএসসি পরীক্ষায় এই স্কুলেরই মুসাব্বারিন চৌধুরী কলা বিভাগে ৯৮.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের সুপার্থ রায় ৯৬.৫০ শতাংশ ও বাণিজ্য বিভাগের সিদ্ধার্থ পোদ্দার পেয়েছে ৮৫.২৫ শতাংশ। আইসিএসই পরীক্ষায় সেন্ট মেরি স্কুলের আদিত্য টেকরিওয়াল ৯৮.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। সেন্ট জ়েভিয়ার্স স্কুলের ৮৯ জন আইসিএসই পরীক্ষা দিয়েছিল। দীপ্তার্ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিবেক গোপ ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে যুগ্ম ভাবে স্কুলে প্রথম হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের রোহন দাস ৯২ শতাংশ, কলা বিভাগের সুরজ ঘোষ ও বাণিজ্য বিভাগের লিপা মল্লিক ৮৪.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্কুলে সেরা হয়েছে। নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ অ্যাকাডেমি স্কুলের ৯৪ জন আইসিএসই পরীক্ষা দিয়েছিল। সায়নদীপ দে ৯৬.৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলে প্রথম হয়েছে।
এ দিকে উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জ সেন্ট জ়েভিয়ার্স স্কুল থেকে ১১৬ জন পড়ুয়া আইসিএসই দিয়েছিল। স্কুলে সর্বোচ্চ ৯৮.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে কৌস্তভ দাস। এই স্কুল থেকে এ বছর ১১১ জন আইএসসি দিয়েছিল। বিজ্ঞান বিভাগে ৯৮.৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে অরুণাভ দাস। ৯৭.৩ শতাংশে দ্বিতীয় হয় রাজর্ষি দত্ত, ৯৫.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলে তৃতীয় হয়েছে শ্রেয়সী মণ্ডল। স্কুলের অধ্যক্ষ ড্যানিয়েল টুডু বলেন, ‘‘দুই পরীক্ষাতেই এ বছর স্কুলের পড়ুয়ারা গত বছরগুলির তুলনায় ভাল ফল করেছে। শিক্ষক, শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলন ছাড়া এত ভাল ফল সম্ভব ছিল না।’’
দক্ষিণ দিনাজপুরে গ্রিন ভিউ ইংলিশ অ্যাকাডেমি স্কুলের ১৮ জন পরীক্ষার্থী এ বছর আইসিএসই পরীক্ষা দিয়েছিল। সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলে প্রথম হয়েছে শাশ্বতপ্রকাশ দে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy