রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত মংপু’র রবীন্দ্রভবনকে ঢেলে সাজার কথা ঘোষণা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মত গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে (জিটিএ) সঙ্গে নিয়েই সেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অব টেগোর’ তৈরি কথাও মন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন। তার আগে অবশ্য নতুন করে ভবনটির সংস্কার করা, মংপুতে বিশেষ বাস চালানোর কথাও মন্ত্রী সোমবার ঘোষণা করেছেন।
তিনি জানান, মংপু সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় জায়গা। কবি গুরুর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। সেখানে চার কোটি টাকা খরচ করে রিসার্চ সেন্টার হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘এর মধ্যে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে গোলমাল হচ্ছিল। আমরা পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। আবার ভবনটির সংস্কার-সহ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আগামী ২২ শ্রাবণের আগে সেগুলি সবই ঠিকঠাক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত দুই দফায় ১ কোটি টাকা খরচ করা হবে। ওই দিন সেখানে বড়মাপের একটি অনুষ্ঠান হবে। কলকাতার শিল্পীরাও সেখানে আসবেন। পাশাপাশি, ওই দিন মংপু যাওয়ার জন্য শিলিগুড়ি থেকে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।’’ এ ছাড়াও শিলিগুড়ি এবং দার্জিলিং থেকে মংপু যাওয়ার জন্য দুটি এনবিএসটিসি-র বাসও চালু হচ্ছে।
গৌতমবাবু এ দিন জানিয়েছেন, মংপুর রবীন্দ্রভবন ছাড়াও শিলিগুড়ির হিমাঞ্চল বিহারে উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ একটি গ্রন্থাগার তৈরি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী গ্রন্থাগারটির নাম দিয়েছেন ‘মাটির-সাথী’। সেখানে টেক্সট বুক, রেফারেন্স বুক ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের বই থাকবে।
চারতলা ভবনের ১০ হাজার স্কোয়ারফুট জায়গা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা প্রকল্পে খরচ হয়েছে। বই-সহ আনুসঙ্গিক জিনিসপত্রের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর আরও ৫০ লক্ষ টাকা দেবে। গ্রন্থাগার দফতরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আগামী উত্তরবঙ্গ সফরে তা উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy